বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ পাচার মামলায় সাহেদের জামিন নাকচ হাইকোর্টে

  •    
  • ২৪ মে, ২০২১ ১৩:৩৬

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।

১১ কোটি টাকা পাচার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।

জামিন চেয়ে করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।

আদালতে সাহেদের পক্ষে ছিলেন ফজলুর রহমান। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, অর্থ পাচার মামলায় সাহেদ জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি নিয়ে আবেদনটি নট প্রেস রিজেক্ট (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) করে দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৫ আগস্ট মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। মামলায় সাহেদ ও পারভেজের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, সাহেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে তিনি তুলে নেন ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ঋণের ৮০ লাখ টাকাসহ তার ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা আছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকার মতো।

সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই অর্থের উৎস প্রতারণা ও জালিয়াতি। ‘প্রতারণা’ ও ‘জালিয়াতি’ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতাভুক্ত অপরাধ। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে রূপান্তর এবং ভোগবিলাসে ব্যয় করার অপরাধে সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগ সাহেদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করে।

জালিয়াতি করে উপার্জিত টাকা লেনদেনের সুবিধার জন্যই মো. সাহেদ রিজেন্ট হাসপাতাল, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড ও অন্যান্য অস্তিত্ববিহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৩টি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করছিলেন। ব্যাংক হিসাবগুলো খোলার সময় তিনি কেওয়াইসি (গ্রাহকের তথ্যসংবলিত ফরম) ফরমে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান বা স্বত্বাধিকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

এই ব্যাংক হিসাবগুলো পরিচালনা করতেন রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব হিসাবে টাকা জমা পড়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ পারভেজের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ছিল।

এ পর্যন্ত মো. সাহেদ ও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা হয়েছে। সাহেদ, তার সহযোগী মাসুদ পারভেজ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড, রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড এবং অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর