'আমরা এখনও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিইনি এবং আমরা এখনও ফিলিস্তিনের পক্ষে অত্যন্ত সোচ্চার। আমরা বিশ্বাস করি টু স্টেট সলুশ্যনে।’
পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ মুছে দেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল শব্দটি বাদ দেয়ার বিষয়টি কূটনৈতিক ক্ষেত্রে কোনো বড় ডিল নয়। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও-কুরি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ই-পাসপোর্ট চালু করেছি। আমরা এই পাসপোর্টটা খুব স্ট্যান্ডার্ড করে তৈরি করেছি। প্রায় ছয় মাস আগে আমরা যখন ই-পাসপোর্ট করি তখন আমরা ওখানে যে একটা সিল লাগানো হতো একসেপ্ট ইসরায়েল, আমরা এটা ডিলিট করেছি। আমরা স্ট্যান্ডার্ড পাসপোর্টের জন্য এটা করেছি। এটার অর্থ এই নয় যে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন হয়েছে।
'ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশের আগের অবস্থান বলবৎ আছে। আমরা একই অবস্থানে আছি। সুতরাং এটা কোনো বিগ ডিল নয়, এটা পাসপোর্টে একটা আইডেনডিটি। ছোট লেখাটা বাদ দিয়েছি। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বহু দেশের পাসপোর্ট দেখেছে। যারা এটা তৈরি করেছেন, তারা আমাদের এটা দেখিয়েছেন। তারা আমাদের বলেছেন, এটা বাদ দিলে খুব বড় কিছু হবে না। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
মোমেন বলেন, ‘অন্যান্য দেশে যেভাবে হয়, আমরা সেটা করেছি। আগে এটা লেখা ছিল। এটা বাদ দিলে পরে এমন নয় যে আপনি ইসরায়েলে যেতে পারবেন, নো। সেটা আমরা এখনও অনুমতি দিই নাই।’
দীর্ঘদিন আগের এ সিদ্ধান্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এসে পরিবর্তন করলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে সেটা না। তৎকালীন সময়ে কিছু অফিশিয়াল সে রকম চিন্তা করেছিলেন, এখন আবার অবস্থার প্রেক্ষিতে এটার চিন্তা করা হয়েছে।’