দীর্ঘ দিন পর লঞ্চ চালুর খবরে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে বরিশাল লঞ্চঘাট। দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা শ্রমিকরা ফিরেছেন কর্মস্থলে। চলছে লঞ্চ ধোয়ামোছা।
দেড়মাস পর বরিশাল-ঢাকা রুটসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হচ্ছে সোমবার। নৌ চলাচলে রোববার সরকারি ঘোষণা পরপরই বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করে রাখা লঞ্চগুলো ধোয়া মোছা শুরু হয়। ছুটিতে থাকা কর্মচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়েছে। এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে সতর্কতার নির্দেশনা দিয়েছে বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ৬ এপ্রিল থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার বলেন, লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিকরা বেশিরভাগ কর্মচারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন বেতন-ভাতা ছাড়াই। কয়েকজন কর্মচারী লঞ্চ পাহারায় রাখলেও তাদের বেতন-ভাতা এমনকি পর্যাপ্ত খোরাকির টাকাও দিতেন না মালিকরা। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে দেড় মাস ধরে।
লঞ্চ চালুর দাবিতে শ্রমিকরা এরই মধ্যে বরিশাল ও চাঁদপুর নদী বন্দরে বিক্ষোভ করেন।মালিকরাও গত শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান। মালিক-শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার রোববার এক ঘোষণায় সোমবার থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চালুর ঘোষণা দেয়।
নৌযান শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম মাস্টার বলেন, লঞ্চ চালু হওয়া খবরে শ্রমিকদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বরিশাল নদী বন্দর হয়ে উঠেছে কর্মমূখর। শ্রমিকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিজ নিজ কাজে।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরের দিকেই বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করা রাখা ঢাকা-বরিশাল রুটের মানামী, সুরভী-৯ ও পারাবত-১০ লঞ্চ ধোয়া মোছা শুরু করেন শ্রমিকরা। এরই মধ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো পরিষ্কার করে চলাচলে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল-ঢাকা রুটসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী ৭০০ নৌযান রয়েছে। এতে কাজ করছে ২০ হাজার নৌযান শ্রমিক।