নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মরদেহ।
রোববার সন্ধ্যায় হাফিজের স্বজনেরা হাসপাতালে এসে তার মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে পাওয়া যায় হাফিজের মরদেহ। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়। পরে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেছে পরিবার।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক রইস উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি তার মরদেহ মর্গে পাওয়া গেছে।’
হাফিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
হাফিজের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ মে দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে রাত ৮-৯টার দিকে তার নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
এর পর থেকে হাফিজের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইম অ্যাকশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মীর লোকমান নিউজবাংলাকে বলেন, গত ১৫ মে তিনি (হাফিজ) কার্জন হলে বসে তার মায়ের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। এরপর তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তার মা দুশ্চিন্তায় কথাও বলতে পারছেন না।’
হাফিজুরের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায়। এ ঘটনায় তার মা সামছুন নাহার গত শুক্রবার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।