দেড় মাসেরও বেশি সময় পর আবার যাত্রী নিয়ে ছুটবে ট্রেন। বসে থাকায় ধুলোর যে আস্তরণ পড়েছে, তার সব ধুয়ে মুছে সাফ করা হচ্ছে। যাত্রী উঠার আগে ব্যবহার করা হবে জীবাণুনাশকও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর আর চলেনি ট্রেন। ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনের প্লাটফর্মে রাখা হয়, যার সিংহভাগই ছিল কমলাপুরে।
বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৫৪ দিন পরে রোববার ঘোষণা আসে, আরও শিথিল হচ্ছে লকডাউন, সোমবার থেকে যাত্রী নিয়ে ছুটবে ২৮ জোড়া ট্রেন।
জানানো হয়েছে, ট্রেনগুলো চলবে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না কেউ। টিকিট পাওয়া যাবে না কাউন্টারে, বিক্রি হবে কেবল অনলাইনে।
তবে টিকিট বিক্রি কখন থেকে, সেটি সন্ধ্যা নাগাদ জানানো হয়নি। সাতটা দিকে টিকিট কাটার চেষ্টা করলে ‘নো ট্রেইন এভেইলেবল’ দেখাচ্ছে।
বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় ট্রেন ধোয়ার জায়গায় মহা ব্যস্ততা। ছাদে ও দুই পাশ থেকে সাবান পানি দিয়ে ঘষার পাশাপাশি পাইপ দিয়ে ছিটানো হচ্ছে পানি।
ট্রেনের ভেতরে ঝাড়ু দেয়ার পাশাপাশি সাবান পানি দিয়ে যাত্রী বসার আসন, সামনে থাকা টেবিল, জানলা, হাতল, মুছে দিচ্ছেন। টয়লেটগুলোতেও চলেছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
একটা একটা করে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকানো হচ্ছে আর পরিষ্কার করা হচ্ছে।
প্লাটফর্মগুলোতেও চলেছে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানালেন, যাত্রী আসা যাওয়া বন্ধ ছিল বলে প্লাটফর্মে ধূলা ছাড়া আর ময়লা আবর্জনা ছিল না। লকডাউনেও কদিন পর পর ঝাড়ু দেয়া হতো। ফলে সেটি পরিষ্কারই আছে।
কমলাপুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সোমবার সকাল থেকে ২৮ জোড়া ট্রেন চলবে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে। এর সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আর ট্রেন চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। প্রতি দুই আসনে যাত্রী নেয়া হবে একজন। বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলার পর ভাড়া বাড়লেও ট্রেনে এমনটা হবে না। আগের ভাড়াতেই যাত্রী টানবে ট্রেন।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দুপুরের দিকে শুনতে পেলাম ট্রেন ছাড়ার ব্যাপারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিটিংয়ে বসেছেন। দুইটা নাগাদ জানতে পেলাম যে, সারাদেশে সীমিত আকারে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এই ট্রেনের মধ্যে ঢাকা থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। বাকি নয় জোড়া ট্রেন ঢাকার বাইরে চলাচল করবে। আমরা সেই প্রস্তুতি শেষ করলাম।’
টিকিট কীভাবে বিক্রি করা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট কাটা হবে না।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের জন্য টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সব ধরনের গণপরিবহন চলবে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।