বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ছাড়া) শব্দ তুলে দেয়ার ঘটনায় ঢাকার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে তেল আবিব। যদিও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ন্যূনতম অগ্রগতি হয়নি।
এক টুইটবার্তায় রোববার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপমহাপরিচালক গিলাড কোহেন এ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ তুলে দেয়াকে ‘অনেকটা বড় খবর’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড একসেপ্ট ইসরায়েল’। এখন নতুন ই-পাসপোর্টে সংশোধন করে লেখা হচ্ছে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’।
বাংলাদেশ সরকারের ইস্যু করা নতুন পাসপোর্টে ইসরায়েলের অংশ সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইহুদি রাষ্ট্রটি। তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গিলাড কোহেন টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘অনেক বড় খবর। বাংলাদেশ ইসরায়েলেয়ের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে। এবার বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলে উভয় দেশের জনগণ লাভবান হবে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আমরা বাংলাদেশকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। শুধু স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বাংলাদেশের পাসপোর্টে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তবে ইসরায়েল বিষয়ে পাসপোর্টে পরিবর্তন হলেও কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ইসরায়েল স্বীকৃতি দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছিল ঢাকা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতেই এ সংশোধনী আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘পাসপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। সেখানে সংশোধনী আনা হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।’