বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার

  •    
  • ২২ মে, ২০২১ ২০:৩৫

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার কোভিডের কারণে তিন গুণ আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফণী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলা করেছি। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় আনা হবে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতবারের চেয়ে তিন গুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি শূন্যের কোঠায় রাখতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে সরকার।

সচিবালয়ে শনিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের হুমকিতে থাকা শতভাগ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে আনার পাশাপাশি রোববার থেকে উপকূলীয় জেলায় শুকনো খাবার পাঠানো হবে।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক, সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখব মৃত্যুহার যেন জিরো হয়।’

অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে।

‘এবার কোভিডের কারণে তিন গুণ আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফণী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলা করেছি। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় আনা হবে।’

দুর্গত এলাকার শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনা গেলে মৃত্যু শূন্যে নামানো সম্ভব বলে মনে করেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা বাইরে অবস্থান করে, তাদের মধ্য থেকেই মারা যায়। আম্পানে আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ মারা যায়নি; যারা মারা গেছে তারা গাছ চাপা পড়ে বা টিনের আঘাতে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।’

রোববারের পর ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান স্পষ্ট হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সব সদস্যকে এর মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা প্রচার শুরু করেছে। শেল্টার সেন্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচার করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। রোববার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেয়া হবে।’

দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘রুল মডেল’ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখায় সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামসুদ্দীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা-বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর