বাংলাদেশ এখন করোনাকালীন ‘সংকট’-এর মধ্যে আছে। এই সংকট মোকাবিলায় করোনার টিকা পেতে আমরা ‘মরিয়া’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন আইটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে টিকা নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে আগাম টাকা দিয়েও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
এমন পরিস্থিতিতে দেশে করোনাভাইরাসের টিকার সংকট দেখা দেয়ার পর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ভয়ংকর সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। দেশটির করোনা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা তাদের পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। ফলে তারা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পাঠাতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
আইটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, যাদের ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা। কিন্তু সেরামের কাছ থেকে তা না আসায় ১৬ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সরাসরি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই পরিমাণ ডোজ চেয়েছে। কিন্তু তাদের এত পরিমাণ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নেই বলে বাংলাদেশের এই আবেদন নাকচ করেছে ব্রিটিশ সরকার।
‘আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য সরকার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের জন্য এই পরিমাণ টিকার ব্যবস্থা করতে পারবে। আমরা মনে করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করে। তাদের উচিত, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ভালো বন্ধু। অনেক বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তাই যুক্তরাজ্যেরও উচিত এগিয়ে আসা।
মোমেন বলেন, ‘আমরা অনেক ডোজ ভ্যাকসিন চাইনি। আমরা শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ চাইছি। যা যুক্তরাজ্যের আছে।’