বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৎস্য খামারে মন দাও: যুবকদের প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২২ মে, ২০২১ ১৬:৫২

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরা যদি মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে এবং সেটা যদি বিক্রি করে, তাহলে সে স্বাবলম্বী হতে পারে। পাশাপাশি আমরা সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, সেখানে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলায়।’

লেখাপড়া শিখে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এক আলোচনা সভায় দেয়া ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলব যে, যেকোনো ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরা যদি মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে এবং সেটা যদি বিক্রি করে, তাহলে সে স্বাবলম্বী হতে পারে।

‘পাশাপাশি আমরা সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, সেখানে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলায়। সেখানেও এ খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলা যায় এবং যে কোনো মৎস্যজাত পণ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, বাজারজাত করতে পারে, সে সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যুবসমাজের জন্য আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি, যেখানে কোনো জামানত ছাড়াও ঋণ নেয়া যেতে পারে। সেই ঋণ নিয়ে যে কেউ কাজ করতে পারবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।

‘মৎসজীবী লীগকে বলব, আমাদের এ সংগঠনটা যেন আরও সুসংগঠিত হয়। সেই সঙ্গে যুবসমাজ যেন মৎস্য উৎপাদনে আরও এগিয়ে আসে, সেদিকে একটু বেশি দৃষ্টি দেয়া। এখানে একটা বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়ে গেছে। কাজেই সে সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য বিশেষ ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা আছে। ঋণের ব্যবস্থা আছে। সব ধরনের সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হয় বলেও মন্তব্য করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে গেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। আমরা ’৯৬ সালে যখন সরকারে আসি, ’৯৮ সালেই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলি।

‘দ্বিতীয়বার যখন সরকারে আসি, তখনও আমাদের লক্ষ্য পূরণ করি এবং যখন খাদ্যনিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করি, সাথে সাথে খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টিটা যাতে যোগ হয়, সে ব্যবস্থাও আমরা নিই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিকে আমরা লক্ষ্য রেখে ’৯৬ সালেও সচেষ্ট হই এবং পরবর্তী সময়েও যখন আমি দ্বিতীয়বার সরকারে, তখনও আমাদের যুবসমাজকে ট্রেনিং দেয়া, সুযোগ সৃষ্টি করা, জলাধারগুলো সংস্কার করা, মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায়, তার ব্যবস্থা নেয়া, এর ওপরে যাতে গবেষণা হয় সে ব্যবস্থা করা, গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করা, যাতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

‘খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি আমাদের মাছই দেয়। একজন মানুষ যদি ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারে, তবে তা তার জন্য যথেষ্ট। আমরা সেখানে মাথাপিছু অন্তত ৬২ গ্রাম পর্যন্ত উন্নীত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সাথে সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হচ্ছে।’

মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। তার ওপর আমাদের যত খাল-বিল বা জলাধার, আমরা ইতিমধ্যে সেগুলো সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণে মাছ উৎপাদন হয়, তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

‘আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল, সেখানে আমরা এখন প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উৎপাদন করা শুরু করেছি। সেই সঙ্গে আমাদের খাদ্য তালিকাতেও মাছ… আর ইলিশ উৎপাদনে আমরা কিন্তু এখন পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ। যেকোনো কারণেই হোক আমরা ইলিশ উৎপাদনে ব্যাপক পদক্ষেপ নিই।’

তিনি বলেন, ‘মাছের প্রজননের সময় আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। তাদের খাদ্য সহায়তা দিই। প্রত্যেককে আমরা প্রতি মাসে বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়ে থাকি। চাল দিয়ে থাকি।

‘সেই সঙ্গে ঝাকায় করে মাছের চাষ, সে ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি বা বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকি, যাতে আমাদের মৎসজীবীরা যেন কোনো রকম কষ্ট না পায়, সে দিকেও আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি, এ কারণে আমরা খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়াতে এখন কিন্তু মানুষ আর অপুষ্টিতে ভুগছে না।

‘সেই সাথে আমি একটা অনুরোধ করব, খাদ্য তালিকাতেও শুধু ভাত খাওয়াই না, সেই সাথে বেশি করে মাছ, সবজি, তরিতরকারি, ফলমূলও খেতে হবে। পুষ্টিগুণটা যাতে খাবারে থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর