বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আশ্বাস চীনের

  •    
  • ২১ মে, ২০২১ ২২:২৮

গত ১৯ জানুয়ারিতে দুপুরের পর সচিব পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় ভার্চুয়াল বৈঠকও হয় দেড় ঘণ্টা সময় জুড়ে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদের কথা বলা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে এরপর আর বিষয়টি আগায়নি।

বাংলাদেশকে নতুন করে ছয় লাখ করোনার টিকা উপহার দেয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে চীন তৃপক্ষীয় বৈঠক করবে। তবে বৈঠকটা কবে হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

চীনের উদ্যোগে সব শেষ তিন দেশের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল গত ১৯ জানুয়ারি।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের ফোনালাপের পর শুক্রবার রাতে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এর আগে ঢাকায় চীনা দূতাবাসও একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে নতুন করে ছয় লাখ টিকা উপহারের কথা জানানো হয়।

গত ১২ মে চীন থেকে উপহারের পাঁচ লাখ টিকা আসে দেশে।

তবে এই বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির উদ্যোগের কথা কিছু জানানো হয়নি।

রোহিঙ্গারা যে দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে, সেই মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব রয়েছে। দিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যর্থ হওয়ার পর চীনের ওপর নির্ভর করছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল। এরপর আবার বসার কথা থাকলেও বৈঠক আর হয়নি

রোহিঙ্গারা ৮০ দশক থেকেই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসতে থাকে। তবে সবচেয়ে বড় স্রোতটা আসে ২০১৭ সালের আগস্টের পর। সব মিলিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এদের মধ্যে এক লাখকে বাংলাদেশ ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায়। এরই মধ্যে দুই বারে দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে সেখানে নেয়া হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। এ জন্য দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে মিয়ানমার পিছিয়ে আসে আর এ নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ নানাভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করছে।

গত ১৯ জানুয়ারিতে দুপুরের পর সচিব পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় ভার্চুয়াল বৈঠকও হয় দেড় ঘণ্টা সময় জুড়ে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদের কথা বলা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে এরপর আর বিষয়টি আগায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চীনের করোনা ভাইরাসের টিকার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন চীনকে নিয়ে টিকার যৌথ উৎপাদনের অনুরোধ করেন বলেও জানানো হয়।

বাংলাদেশকে ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে চীনা মন্ত্র্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশে করোনার টিকার যৌথ উৎপাদনে সে দেশের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে।’

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় টিকা প্রসঙ্গ।

ওয়াং ই জানান, চীন বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে টিকার যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। এর বাইরে ভারত উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে আরও ৩৩ লাখ।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও আসার কথা ছিল ছয় কোটি ৭০ লাখ টিকা। পরে জানানো হয় আরও বেশি আসবে। কিন্তু সে টিকাও আর আসেনি।

এই পরিস্থিতিতে টিকা স্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।

সিরাম থেকে টিকা না পেয়ে সরকার চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে চীন থেকে চার থেকে পাঁচ কোটি টিকা কিনতে চায়। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগও আছে।

এ বিভাগের আরো খবর