স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ (মরণোত্তর) প্রদান করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কে এম বজলুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগমের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের সভায় উপস্থিত থেকে তিনি কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বায়ান্নর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নেতৃত্ব দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন এ কে এম বজলুর রহমান।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের ইয়ুথ মুভমেন্টের ডেপুটি ডাইরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন এবং আগরতলায় ১৭টি গেরিলা ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। এ বছর ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান লাভ করে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমান ছাড়াও এবার পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টার, প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবু, প্রয়াত এ কে এম বজলুর রহমান, প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ; সাহিত্যে কবি মহাদেব সাহা; সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্রকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্যজন আতাউর রহমান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, সমাজসেবা বা জনসেবায় সম্মাননা পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।
এ ছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে দেয়া হয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার।