সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনায় আলোচনায় আসা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ কথা বলেন দুদক কমিশনার জহিরুল হক।
সচিবালয়ে সরকারি তথ্য চুরির অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার সময় শারীরিকভাবে হেনস্তা করার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এই প্রেক্ষাপটে জেবুন্নেসার বিরুদ্ধে হইচই শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
সোমবার রাতে ফেসবুকে কয়েকটি ছবিসহ ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে অভিযোগ করা হয়, রোজিনাকে আটকে রাখার সময় নির্যাতন করেছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেসা বেগম।
ওই পোস্টে জেবুন্নেসার নাম, পরিচয় ও মোবাইল নম্বরসহ তার সম্পদের একটি বিবরণও দেয়া হয়। পোস্টে দাবি করা হয়, জেবুন্নেসার কানাডাতে তিনটি বাড়ি, ইস্ট লন্ডনে একটি বাড়ি রয়েছে। দেশে ঢাকায় চারটি বাড়ি, গাজীপুর জেলায় ২১ বিঘা জমিসহ ব্যাংকে ৮০ কোটি টাকার এফডিআর আছে। তবে কারও পোস্টেই তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
তবে পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জেবুন্নেসা বেগম দাবি করেন, রোজিনা ইসলামকে নির্যাতনকারী হিসেবে যে নারীর ছবি ছড়ানো হয়েছে সেই নারী তিনি নন।
আলোচনায় আসা সেই জেবুন্নেসার বিরুদ্ধে অনিয়মের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ‘এখানে এত বিঘা ও বিদেশে সম্পত্তি এটা বললে হবে না। জমি থাকলে কোন জায়গায়, টাকা কোন হিসাবে এ রকম সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে আমরা খতিয়ে দেখব।’
দুর্নীতি সুনির্দিষ্ট ও তথ্যভিত্তিক হতে হবে উল্লেখ করে জহিরুল হক আরও বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে দুর্নীতি আছে, প্রত্যেক বিভাগে ভালো মানুষও আছে। স্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে সুনির্দিষ্ট হতে হবে, তথ্যভিত্তিক হতে হবে। তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’