স্বেচ্ছাশ্রমকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে মূলধারায় আনতে জুনের মধ্যে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নীতিমালা প্রণয়নে গঠিত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান পরামর্শক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার নীতিমালা প্রণয়নসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির তৃতীয় ও চূড়ান্ত কনসালটেটিভ সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে।’
এ জন্য জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কার্যপরিধির মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নীতিমালার কাজ সম্পন্ন হবে।’
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালার সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
মহান মুক্তিযুদ্ধে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নীতিমালাটি স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যোগগুলোকে আরও শক্তিশালী করে তাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে সুরক্ষার জন্য বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে, যা দেশে শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই তাদের স্বীকৃতি দেয়া জরুরি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ‘নীতিমালাটি স্বেচ্ছাসেবীদের কার্যবিধি বাড়াতে এবং সম্ভাব্য অংশীদারদের একত্রিত করার জন্য সামগ্রিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।’
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এটি একটি সফল এবং সুসংহত নীতি হবে। জাতিসংঘ এই স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা গঠনে সহায়তা করবে এবং ইউএনডিপি প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।’