রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবিসহ সাংবাদিকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ ঘোষণা দেন।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবিতে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, দলের কো-চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ নেতা-কর্মীরা।
জি এম কাদের বলেন, 'আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি, সাংবাদিকদের আন্দোলনে। কারণ তারাই সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করলে কারও জবাবদিহি থাকবে না। তখন দেশ গণতন্ত্র নয়, রাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা এটা হতে দিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করছি। ঘটনার জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি দাবি করছি। কারণ যাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তারা লুটপাটে জড়িত রয়েছেন কি না আমরা নিশ্চিত নই ‘
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আর যাতে না থাকে সেটা আমরা দেখতে চাই। সরকার যদি দরকার মনে করে তাহলে তথ্য অধিকার আইন নতুন করে সংশোধন করুক।’
তিনি বলেন, ‘রোজিনা ইসলামকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটকের পর নির্যাতন করা হয়েছে। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। যে আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি একটি কালো আইন। সেই আইনটি বাতিল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম।’
মানববন্ধনে জাতীয় পার্টির নেতারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী নিয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের নেতৃত্বে শক্তি প্রয়োগ করে নিবৃত্ত করতে হবে ইসরায়েলকে। আলোচনার ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের উদ্যোগ নিতে হবে।