বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজিনার জামিনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ের কমিটি

  •    
  • ২০ মে, ২০২১ ১৫:১৭

গত সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে গিয়ে অবরুদ্ধ হন রোজিনা ইসলাম। তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের সংবেদনশীল নথিপত্র সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ আনেন কর্মকর্তারা। ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন নিতে বলা হয।

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটক করে রাখার ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি। তারা এই ঘটনায় এই সংবাদ কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। সে জন্য জামিন হয় কি না, সে দিকে তাকিয়ে তারা।

তিন কার্য দিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনও তৈরি হয়নি।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা সময় চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব।'

সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির স্বার্থেই সময় প্রয়োজন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

তবে কতদিন সময় চাইবেন সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। বলেন, ‘আমরা সময় চেয়ে আবেদন করব। মন্ত্রণালয় যে কদিন সময় দেয়, দেখা যাক।'

সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

বলেন, 'আমরাও দেখছি বিবাদী রোজিনা ইসলামের জামিন হয় কি না। তিনি জামিনে মুক্তি পেলে তার সঙ্গেও কথা বলতে চাই। তদন্তের স্বার্থে তার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।'

জামিন না হলে কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। বলেন, 'দেখা যাক।'

সোমবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো. সাইফুল্লাহিল আজমকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আবদুছ সালাম ও মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা।

গত সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে গিয়ে অবরুদ্ধ হন রোজিনা ইসলাম। তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের সংবেদনশীল নথিপত্র সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ আনেন কর্মকর্তারা।

পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখার পর রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে হয় সরকারি নথি চুরির মামলা।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ টিকা সংগ্রহের জন্য যে চুক্তি করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নথিপত্র থেকে কয়েকটি সরিয়েছিলেন এই সাংবাদিক। সেগুলো প্রকাশ হলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হতে পারত।

তবে এই ঘটনাটি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ক্ষুব্ধ করেছে। তারা একে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। আর রোজিনার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচিও পালন করছেন।

গ্রেপ্তারের পর দিন মঙ্গলবার রোজিনাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা। তবে সে আদেশ গ্রহণ না করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুই দিন পর বৃহস্পতিবার হয় জামিন শুনানি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শুনানি শেষ হলেও আদেশ আসেনি।

এ বিভাগের আরো খবর