সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ ঘটনার জন্য বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বদনাম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাদান ও হেনস্তার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক মানুষের জন্য আজ বাংলাদেশের বদনাম হচ্ছে। এ ঘটনায় সরকারের কিছু লুকানোর নেই। গুটি কয়েক লোকের আচরণের জন্য আমাদের এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফেস করতে হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা বালিশ-কাণ্ডের ঘটনা জেনেছি, সাহেদ-কাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে, সুপারিগাছ-কাণ্ডের অপরাধ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এমন দুঃখজনক ঘটনা কখনোই আশা করি না। এ জন্যই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
করোনার টিকা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন পেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সংবাদ আসেনি। মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে তারা তালিকা তৈরি করায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ক্রাইটেরিয়ায় আসেনি। ব্রিটেনকেও অনুরোধ জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। ভারত কখনও ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে না করেনি, কিন্তু বাস্তবতার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। ভ্যাকসিন দেয়ার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করও।
মোমেন জানান, টিকা বিষয়ে চীনের তিনটা ডকুমেন্টসের দুটো সেখানে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এ সপ্তাহে কাজ শেষ হবার আশা করা হচ্ছে। রাশিয়ার জন্য কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে। কানাডার কাছেও অ্যাস্ট্রাজেনেকা চাওয়া হয়েছে। আলোচনা করে জানাবে দেশটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দুই দেশের কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের স্মরণে ছবির একটি ঐতিহাসিক ফ্রেম হস্তান্তর করেন কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়াকে আইটি সেক্টরে বিনিয়োগ, দেশের ১১১৪ জন শিক্ষার্থী যারা ফিরতে পারেনি, তাদের সহায়তা করাসহ আরও শিক্ষার্থী নেয়ার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরে করোনার র্যাপিড টেস্ট সেন্টার স্থাপনের বিষয় এবং দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে আলাপ হয়েছে বৈঠকে।