বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীনতা পুরস্কার নিজ হাতে দিয়ে তৃপ্ত প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২০ মে, ২০২১ ১৩:০৭

‘আমার মনে হয়েছে ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী এ সময় পুরস্কারটা যদি নিজের হাতে তুলে না দিতে পারি তাহলে নিজেকেই অবাঞ্চিত মনে হবে। তাহলে আমি কী করতে পারলাম। এ কারণেই খুব সীমিত আকারে অনুষ্ঠানটা আমরা আয়োজন করেছি।’

করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এত দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিলেও এবার তা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে নিজ হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন সরকার প্রধান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণভবনে করলাম এ কারণে, এবার এ পুরস্কারটা হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করছি। আবার আমাদের স্বাধীনতা, তার ৫০ বছর পূর্তি। আমরা অন্যান্য অনুষ্ঠান এখন যেমন করছি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে, কিন্তু আসলে সেটা আমার ঠিক মন থেকে চায়নি।

‘আমার মনে হয়েছে ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী এ সময় পুরস্কারটা যদি নিজের হাতে তুলে না দিতে পারি তাহলে নিজেকেই অবাঞ্চিত মনে হবে। তাহলে আমি কী করতে পারলাম। এ কারণেই খুব সীমিত আকারে অনুষ্ঠানটা আমরা আয়োজন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানটা হচ্ছে যখন করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে সারা বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে। যার ফলে মানুষের যে স্বাভাবিক যে জীবনযাত্রা তা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা দেখতে পারছি যে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষ কিছু কিছু সমস্যায় ভুগছে। তেমনি একটি পরিস্থিতিতে আমাদের এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

‘আমি জানি সাধারণত এ অনুষ্ঠানে আমরা সবাইকে দাওয়াত দিয়ে থাকি। তারা প্রতি বছর উন্মুখ হয়ে থাকেন। কিন্তু এবার এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্যই সেটা সম্ভব হলো না বলে আমি সত্যিই দুঃখিত।’

করোনা সংক্রমণে সকলেরই জীবনের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই বৃহৎ পরিষদে আয়োজন করা যায়নি বলেও ব্যাখ্যা দেন সরকার প্রধান।

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী। জনসমাগম এড়াতে বরাবরই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন সরকার প্রধান। আর এরজন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বারবার আক্ষেপ করতে শোনা গেছে তাকে।

অবশ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত মার্চে ১০ দিনের যে অনুষ্ঠান মালা আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে কয়েকটি অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেগুলো ছিল নিরাপত্তায় ঢাকা এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধির বেড়াজালে বন্দি। এক বছরেরও বেশি সময় পরে প্রধানমন্ত্রীর এ আক্ষেপ ঘুচল।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। এ বছর ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান লাভ করে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা।

এ বছরের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টার, প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবু, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম বজলুর রহমান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ; সাহিত্যে কবি মহাদেব সাহা; সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্রকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্যজন আতাউর রহমান।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, সমাজসেবা বা জনসেবায় সম্মাননা পান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।

এ ছাড়াও গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে দেয়া হয়েছে স্বাধীনতা পদক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবছর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি আমরা করেছি। সে অনুষ্ঠানও আমরা সীমিত আকারে করেছি। সেটা করতে পেরেছি কারণ সে সময় করোনা একটু ভালো অবস্থানে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার দ্বিতীয় ধাক্কা যখন এলো এটা খুবই বিপর্যস্ত অবস্থা।

‘সারা বিশ্বেই বিপর্যস্ত অবস্থা, বাংলাদেশেও। এ অবস্থার মধ্যেই আমরা আমাদের অনুষ্ঠানগুলো করে যাচ্ছি বা আমাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কাজটা যাতে অব্যাহত থাকে এজন্য প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর