কর্মস্থলে ফিরতে ঈদের পাঁচদিন পরও বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার যাত্রী।
এই নৌপথে বুধবার সকাল থেকে চলছে ১৮টি ফেরি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রতিটিই যাত্রী বোঝাই করে নিয়ে এসেছে। তাতে যানবাহন ছিল কমই।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছেন। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় নদী পাড়ি দিতে কাউকেই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ঘাটে এলেই যাত্রীরা পেয়ে যাচ্ছেন ফেরি।
ঢাকাগামী যাত্রী রহমান মোল্লা বলেন, ‘ছুটি শেষ হয়েছে। গিয়েই কাজে যোগ দিতে হবে। গরম বেড়ে যাওয়ার আগেই পৌঁছানোর জন্য আজ ভোরেই বের হয়েছি।’
আরেক যাত্রী হামিদ মিয়া বলেন, ‘ভোরে গরম কম ছিল। তাই রওনা দিয়েছি। কিছুটা স্বস্তি নিয়ে পদ্মা পার হতে চাই।’
শিশু সন্তানদের নিয়ে ঢাকা ফিরছেন আনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘ভিড় কম হবে ভেবে সকাল সকাল বের হয়েছি। কিন্তু ঘাটে দেখি উল্টো চিত্র। সকাল থেকেই ভিড়। গরমে কষ্ট হচ্ছে।’
শিবচরের চরজানাজান নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঘাটে আজ ভোর থেকেই মোটামুটি চাপ তৈরি হয়েছে। ফেরিতে যেন অধিক যাত্রী নিয়ে গাদাগাদি না হয়, সেদিকটা খেয়াল রাখা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, যাত্রীদের চাপ আরো দুই থেকে তিনদিন বেশি থাকবে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দ্রুত ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে ফিরে আসছে।
শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ শেষে রাজধানীগামী মানুষের ভিড় বেড়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি ফেরিতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে অসংখ্য যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। তবে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী ফেরিতে তেমন ভিড় নেই। বেশ কয়েকটি ফেরি শুধুমাত্র যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
শিমুলিয়া ফেরি ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়ায় নামা যাত্রীরা ছোট ছোট যানে চড়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।