সরকারি নথি চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির এই নেতা।
রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবানও জানান তিনি। কাদের বলেন, ‘যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন, তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন।’
‘সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের প্রতি কোন অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’-যোগ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের প্রতি কোনো অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং চারটি হাসপাতালে চারটি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ও চারটি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের জানান, সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশের গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের কোনো ধরনের চাপ নেই। প্রতিনিয়ত দেশের গণমাধ্যম দুর্নীতি, অপরাধসহ নানান বিষয়ে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশ করছে। এ দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যম অতন্দ্র প্রহরী।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জন্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, এমন বক্তব্য যারা দিচ্ছেন তাদের বক্তব্য আদৌ সত্য নয়। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ও কঠোর। বিএনপি প্রতিটি ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে কিন্তু তাদের সে অপচেষ্টা হালে পানি পায় না।’
ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারতো বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি রুমে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখার পর শাহবাগ থানায় পাঠিয়ে সোমবার রাতে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস’ অ্যাক্টে রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই মামলাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার রোজিনাকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠান বিচারক। বৃহস্পতিবার হবে জামিনের শুনানি।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক সংকটময় কালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সুনিপুণ সাংগঠনিক দক্ষতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের গুণে জাতির পিতার এই সংগঠনকে শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করান শেখ হাসিনা।
‘১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে একটানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন শেখ হাসিনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সাত দশক বয়সী আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চার দশক ধরে। পৃথিবীর খুব কম রাজনীতিবিদের ভাগ্যেই এমনটি ঘটেছে।
‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের এই ক্লান্তিকালেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।’