মেধাবী ছাত্রী তমালিকা (কল্পিত নাম)। এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে। সাভার মডেল কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
পড়াশোনা করে বড় হবে এই তার স্বপ্ন। মাঝে বাধ সাধে তার বাবার জেদ। মেয়েকে বিয়ে দিবেন। ভাল পাত্র পেয়েছেন। তাই তাড়াহুড়া।
শত চেষ্টা করেও বাবার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেনি তমালিকা। মোবাইল কেড়ে নেয়ায় বাইরে যোগাযোগের সব পথও বন্ধ।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, সোমবার ছিল সেই বিয়ের দিন। সন্ধ্যায় বর আসে।
এরই ফাঁকে এক আত্মীয়র মোবাইল থেকে এক সহপাঠীকে ফোন করে সাহায্য চায় কিশোরী।
কিশোরীর ওই সহপাঠী বন্ধুই পুলিশের ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে এসএমএস করে সহায়তা চায়। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনকে এসএমএসটি পাঠিয়ে অভিযোগ সত্য হলে তাৎক্ষনিকভাবে বিয়েটি বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিয়েটা হয়ে যেতে পারে। তাই কাছাকাছি এলাকার এক জনপ্রতিনিধিকে ফোন করে তার সহায়তা চায় পুলিশ। তিনি ছুটে গিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিয়ে থামান। পুলিশও পৌঁছে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। বন্ধ হয় আরেকটি বাল্যবিয়ে।