বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজিনার জন্য বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

  •    
  • ১৮ মে, ২০২১ ১৭:০৮

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবে।’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের ১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সেই সঙ্গে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান বিশিষ্ট নাগরিকেরা। বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।

‘বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি।’

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একই সাথে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতার দ্বারা সরকার উপকৃত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম আক্রান্ত হওয়ার কার্যকারণ আরও তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি আমরা জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেছেন, ‘আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন।’

তারা বলেন, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সোমবার রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার সকালে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে আটকে রাখার আদেশ দেন বিচারক মোহাম্মদ জসিম।

এ বিভাগের আরো খবর