বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ মাসেই বদলি নিয়ে গুঞ্জন: ডিসির আবেগঘন স্ট্যাটাস

  •    
  • ১৮ মে, ২০২১ ০১:৩২

‘দুঃখজনক হলেও সত্যি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে এখনও আমার নিকট থেকে কোনোরূপ বক্তব্য নেয়া হয়নি বা অভিযোগকারীকে আমি নিজেই চিনি না।’

মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় বদলি করা হয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আ ন ম ফয়জুল হককে। তার জায়গায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আজিজুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১৬ মে ফয়জুল হকের বদলির আদেশের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব করা হয়েছে।

প্রশাসনে ডিসিদের বদলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও ফয়জুল হকের বদলি নিয়ে জনপ্রশাসন ও বাগেরহাটে বেশ আলোচনা চলছে।

এই আলোচনার মধ্যেই ডিসি ফয়জুল হক সোমবার বিকেল চারটার দিকে নিজ ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। তার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘সম্মানিত বাগেরহাটবাসী। আপনারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন আমার বদলির আদেশ হয়েছে। অনেকেই ফোন করেছেন। বিভিন্ন পেশাজীবী ফোরাম থেকে বলেছেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই যে আপনাকে যেতে দেব না। আপনার আদেশ প্রত্যাহার করে ছাড়ব ইত্যাদি ইত্যাদি।

‘বিগত পাচঁ মাস আমি আপনাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম তাতেই আমি আপনাদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ। অনেকে জানতে চেয়েছেন কেন হঠাৎ এ আদেশ?

‘আসলে সরকারি আদেশের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যায় না। তবে আমি এ জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্থানীয় সরকার বিভাগে থাকতে ঘটে যাওয়া একটা বিষয় নিয়ে নাকি কে একজন বাগেরহাটের মোল্লাহাটের ছেলে কেবিনেটে অভিযোগ করেছে। সেটি আমার মনে হয় আপনাদের একটু বলা প্রয়োজন। না হলে সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের ঐতিহ্যবাহী পদটিকে সম্মানহানি করার চেষ্টা করা হতে পারে।’

ডিসি আ ন ম ফয়জুল হকের স্ট্যাটাস

ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বাগেরহাটেরই মোল্লাহাটের ওই ছেলে, ফেসবুকে বিডি প্রথম আলো নামে একটা পেজ খুলে (পেজটি একদম নতুন খোলা হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যম হিসেবে এর কোনো ভিত্তি আছে বলে জানা নেই) সেখানে তার পারিবারিক বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট কিছু কথা লিখে অনবরত নিজস্ব কিছু লোকজন দিয়ে সেটিকে ভাইরাল করে। ফেসবুকে আপনারাও অনেকে এটা দেখেছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি হয়তো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন, তাই বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই।

‘তবে আমি এবং আমার পরিবার আমাদের নিজেদের অবস্থানে আত্মবিশ্বাসী। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি যে ওই অভিযোগে আমার কোনো দায় নেই। আমার সারল্যের সুযোগ নিয়ে এমন বানোয়াট অভিযোগ তৈরি করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে এখনও আমার নিকট থেকে কোনোরূপ বক্তব্য নেয়া হয়নি বা অভিযোগকারীকে আমি নিজেই চিনি না।

‘অভিযোগের কপিটিও আমি অফিশিয়ালি পাইনি। আমার বদলির পেছনে এটি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ও থাকতে পারে। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে জনস্বার্থে সরকারের আদেশ বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নেয়া আমার দায়িত্ব।’

ডিসি ফয়জুল তার ফেসবুক পেজে বাগেরহাটের কর্মজীবন নিয়ে আরও কিছু আবেগঘন কথা বলেন।

ফেসবুকে ‘বিডি প্রথম আলো’ নামের পেজে ডিসির বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে ডিসির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ করেন। তিনি ডিসির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াসহ তার বাচ্চাদের জীবনের নিরাপত্তা ও সংসার বাঁচানোর আবেদন জানান।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ‘বিডি প্রথম আলো’ নামের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকবার ম্যাসেজ পাঠিয়েও কোনো সাড়া পায়নি নিউজবাংলা।

এ বিষয়ে ডিসি ফয়জুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেসবুক স্ট্যাটাসে আমার যা বলার বলেছি, এর বেশি বলা সম্ভব নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর