বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজিনার বিরুদ্ধে মামলার সাজা তিন বছর

  •    
  • ১৮ মে, ২০২১ ০১:২৩

দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ছাড়াও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর বলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার হবে এবং এই মামলা জামিনযোগ্য বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী।

রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি চুরির অভিযোগ এনে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, তাতে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হতে পারে বলে মনে করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এই মামলাটি জামিনযোগ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেই এর বিচার হবে।

সোমবার বিকেলে এই গণমাধ্যমকর্মী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে গোপন নথি সরানোর অভিযোগে আটক হন। বেলা দুইটা ৫৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

রোজিনাকে থানায় নেয়া হয় রাত সাড়ে আটটার পরে। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তিনি মন্ত্রণালয়েই ছিলেন।

পরে রাত ১১টার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিবন্ধন করে রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মামলাটিতে মোট চারটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ছাড়াও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

৩৭৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি চুরি করে, তবে সে ব্যক্তি তিন বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৪১১ ধারায়ও একই ধরনের কথা বলা আছে।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলা নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, এই ধারায়ও সর্বোচ্চ সাজা আছে তিন বছরের কারাদণ্ড।

অফিসিয়াল সিক্রেসট অ্যাক্ট এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানে যদি কেউ যায় বা যেতে উদ্যত হয় বা ওই স্থানের কোনো নকশা বা স্কেচ তৈরি করেন বা কোনো গোপন তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করেন তবে তিনি অপরাধী হবেন।

৫ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি গোপনে কোনো সংবাদ পেয়ে থাকলে সেই সংবাদ প্রকাশ করতে পারবে না। কোনো সংবাদপত্র যদি কোনো গোপন সংবাদ প্রকাশ করে তবে প্রতিবেদক, সম্পাদক, মুদ্রাকর এবং প্রকাশক অপরাধী হবেন। এসব কাজে সহায়তা করা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ৩ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা আছে তিন বছর আর ৫ ধারায় দুই বছর।

চারটি ধারা একসঙ্গে চলছে সর্বোচ্চ সাজাও তিন বছর হবে বলেও মনে করেন তিনি।

তবে ৩ ধারায় যে গুপ্তচরবৃত্তির কথা বলা হয়েছে, সেটি রোজিনা কীভাবে করেছেন, সেটা বুঝতে পারছেন না জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। বলেন, ‘দেশের ভেতর কোনো সাংবাদিক কীভাবে গুপ্তচরবৃত্তি করলেন, আইডিয়াটাই আমার মাথায় ঢুকছে না।’

মন্ত্রণালয়ের যে অভিযোগ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব নথি সরানোর অভিযোগ এনেছে, সেগুলোতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ই মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় করা এজহার

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেসব নথিপত্রের ছবি তুলেছিল, তার মধ্যে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বলা হয়, ‘এ সকল তথ্য জনসম্মুখে প্রচার চলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

বলা হয়, বিকেল দুইটা ৫৫ মিনিটে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সচিবের একান্ত সচিবের দপ্তরে ঢুকেন। তখন একান্ত সচিব দাপ্তরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সে সময় রোজিনা ইসলাম দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন।

সে সময় সচিবের দপ্তরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান খান বিষয়টি দেখতে পেয়ে রোজিনাকে বাধা দেন। আর নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতে তিনি ওই কক্ষে কী করছেন, তা জানতে চান। এ সময় রোজিনা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।

অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে রোজিনার কাছ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র এবং নথির ছবি সম্বলিত মোবাইল উদ্ধার করেন।

এ বিভাগের আরো খবর