বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির মামলা: সাংবাদিক রোজিনা গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৮ মে, ২০২১ ০০:০৯

দণ্ডবিধি ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এতে একমাত্র আসামি করা হয়েছে রোজিনাকে। মামলায় বাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানীকে।

তুমুল আলোচনার মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগ এনে মামলা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (রমনা জোন) হারুন-অর-রশীদ।

মামলায় বাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানীকে।

দণ্ডবিধি ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এতে একমাত্র আসামি করা হয়েছে রোজিনাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁঞার রুমে ঢুকে ‘ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ফাইল’ সরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রোজিনা ইসলাম।

এরপর তাকে মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওই কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী রোজিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরির অভিযোগ আনলে রাত পৌনে নয়টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ সময় সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে কেন রোজিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হলো সে বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

পুলিশ প্রহরায় রোজিনাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে দ্রুতবেগে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারাও কোনো কথা বলেননি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগে রোজিনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

তবে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রোজিনা ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি গিয়েছিলাম স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করতে। এ সময় সচিবের পিএস সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। আমি কোনো ফাইল নিইনি।’

সাংবাদিক রোজিনার ছোট বোন সেলিনা পারভেজ জুলি দাবি করেছেন স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার বোনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নথি গায়েবের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সেলিনা বলেন, ‘আপা গিয়েছিল পেশাগত দায়িত্বপালনে। পরবর্তীতে মিজান (পুলিশ কনস্টেবল) খুব মিসবিহেভ করেছে। গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে, মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।

‘সাংবাদিকদের মোবাইলে তো অনেক ডকুমেন্টস থাকে। এখন তারা মিথ্যা অপপ্রচার করছে তারা আমার বোনের ব্যাগে কিছু কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে বলেছে আপনি এগুলো চুরি করেছেন। স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সে কিছু রিপোর্ট করার পর থেকেই তার নামে এরকম হুমকি আসছিল।’

রোজিনা ইসলামের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলেও দাবি করেন তার ছোট বোন। তিনি বলেন, ‘এখন আমার বোনের শারীরিক অবস্থা ভালো না। ওর গায়ে প্রচণ্ড জ্বর, ওর চিকিৎসা প্রয়োজন।’

এ বিভাগের আরো খবর