হেফাজতে ইসলামের হরতালে নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার আরেকটি মামলায় এবার মামুনুল হককে তিনি দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মুখ্য বিচারিক হাকিম ফারহানা ফেরদৌসের আদালত সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেয়।
আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, হরতালে নাশকতার একটি মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের অনুমতি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান, এক আসামি তার জবানবন্দিতে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নাম প্রকাশ করেন। তিনি জানান, হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জ্বালাও-পোড়াওসহ গাড়ি ভাঙচুরের নির্দেশ দেন মামুনুল হক। তাই তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ১২ মে পাঁচ মামলায় মামুনুলকে ১৫ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।
কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে সেদিন জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে হরতালে সহিংসতার দুইটি মামলা এবং সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্ট ও যুবলীগ, ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের দুইটি মামলায় পুলিশ মামুনুলকে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। প্রতিটি মামলায় আদালত তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন নেয়।
এ ছাড়া জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা হয় নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জসহ আরও কয়েক জেলায়।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল। ওই নারীকে প্রথমে তিনি নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও পরে জানা যায়, মিথ্যা বলেছেন মামুনুল। ওই নারী তার পরিচিত হলেও স্ত্রী নয়।
এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
গ্রেপ্তারের পর তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।