প্রবাসীর পাঠানো ল্যাপটপ উদ্ধার করে প্রকৃত প্রাপককে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর খিলগাঁও থেকে আলাউদ্দিন মাহি নামে এক ব্যক্তি পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মেসেজ পাঠান। তিনি জানান, ওমান থেকে তার ভাগনিজামাই আরেক প্রবাসী মাসুদ পারভেজ রাজার মাধ্যমে একটি ল্যাপটপ পাঠান। এয়ারপোর্ট থেকে সেই ল্যাপটপ সংগ্রহের কথা থাকলেও দেশে নেমে চম্পট দেন রাজা। বন্ধ করে দেন সব ধরনের যোগাযোগ।
আলাউদ্দিন মাহি জানান, বারবার যোগাযোগ করলেও প্রথমে ঘুরিয়ে পরে ল্যাপটপের কথা অস্বীকার করেন রাজা। এরপর ঘটনা পুলিশকে জানান আলাউদ্দিন।
পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঘটনা জানার পর তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানতে পারে রাজার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়।
পরে অভিযুক্তের ঠিকানাসহ ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালালকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিয়ে রাজার বাড়িতে হাজির হন।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, প্রথমে পরিবারের সদস্যরা রাজার বাড়ি ফেরার কথা অস্বীকার করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানান রাজার অবস্থান। এরপর পুলিশ গিয়ে রাজাকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় ল্যাপটপ। পরে আলাউদ্দিনকে ল্যাপটপটি বুঝিয়ে দেয়া হয়।
ল্যাপটপ পেয়ে আলাউদ্দিন লেখেন, ‘মাত্র দশ দিনের মধ্যে পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করে আমার ল্যাপটপটি উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে, যা আমাদেরকে অভিভূত করেছে। আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা নিউজবাংলাকে জানান, প্রবাসীদের কষ্টের টাকায় কেনা বিভিন্ন পণ্য পরিচিতদের মাধ্যমে দেশে পাঠিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেসব মূল্যবান জিনিস বহনকারী নিজেই আত্মসাতের চেষ্টা করেন। যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকেন তাদের জন্য আমাদের পরিষ্কার বার্তা- অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।