ঈদের এক দিন পরও যাত্রীর চাপ কমেনি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে। এখন শুরু হয়েছে উভয়মুখী চাপ।
ছুটিতে বাড়িতে যেতে না পারা দক্ষিণাঞ্চলের অনেকে এখন ঢাকা ছাড়ছেন। অপরদিকে বাড়িতে যাওয়া মানুষ ছুটি শেষে ফিরছেন কর্মস্থলে।
যাত্রীর চাপ থাকায় রোববার ফেরিগুলোকে বেশি যাত্রী ও কম যানবাহন নিয়ে পার হতে দেখা গেছে। যাত্রীদের মধ্যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেও আগের মতোই ফেরিতে গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও তা বিশেষ কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।
ঈদের আগে প্রচণ্ড গরম ও হুড়োহুড়িতে দুই ফেরিতে পাঁচজন প্রাণ হারানোর পর ফেরির সার্ভিস গতিশীল হয়েছে। রোববার এ রুটে আরও দুটি ফেরি যোগ করেছে বিআইডব্লিউটিসি। এ রুটে এখন ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
ফেরিতে মানা হচ্ছে না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি
ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ শেষ হলেও রোববার সকাল থেকেই শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ। দুই পাশেই চাপ থাকায় প্রতিটি ফেরিই ছিল গন্তব্যমুখী মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লুৎফর রহমান বলেন, ‘বরিশাল থেকে ভেঙে ভেঙে ইজিবাইক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ করে বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এখন ফেরিতে দেখছি অনেক ভিড়। তাই পরের ফেরিতে পার হব।’
পটুয়াখালীগামী সাবিনা বেগম বলেন, ‘ভোগান্তির ভয়ে ঈদের পরে বাড়ি ফিরছি। তাও ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি।
‘পথে পথে প্রতিটি যানবাহনেই প্রায় তিন গুণ ভাড়া দিতে হয়েছে; তাও দুঃখ নেই। কিন্তু পরিবহন বন্ধ থাকায় যে ভোগান্তি হলো, তা বলে বোঝানো যাবে না।’
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আজও উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে আজ থেকে একটি রো রো ও একটি ডাম্প ফেরি যোগ করা হয়েছে। বর্তমানে ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল দুপুরে ঘাট এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি জানান, কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের পাশাপাশি ঘরমুখী যাত্রীদের চাপও রয়েছে। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই শতাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।