বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে পারেনি কেউ

  •    
  • ১৬ মে, ২০২১ ১৭:২০

ভারতের দূতাবাস থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না পাওয়ায় দেশে প্রবেশ করতে পারেননি সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা। দুপুর পর্যন্ত ভারতের হাইকমিশন থেকে কাউকে ছাড়পত্র বা এনওসি দেয়া হয়নি।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আটকাপড়া বাংলাদেশিদের ফেরার কথা ছিল আজ রোববার। তবে ভারতীয় দূতাবাসের ছাড়পত্র (এনওসি) না পাওয়ায় এ চেকপোস্ট দিয়ে ফিরতে পারেননি কেউ।

রোববার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের দেশে ফেরা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। তবে রোববার দুপুর পর্যন্ত এ চেকপোস্ট দিয়ে কোনো নাগরিক দেশে আসেননি।

দর্শনা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতের দূতাবাস থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না পাওয়ায় দেশে প্রবেশ করতে পারেননি সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা। দুপুর পর্যন্ত ভারতের হাইকমিশন থেকে কাউকে ছাড়পত্র বা এনওসি দেয়া হয়নি।

করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি। দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে এমন তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রোববার থেকে তাদের দেশে আসার কথা ছিল।

তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর চেকপোস্টেই তাদের স্বাস্থ্য ও করোনা পরীক্ষা করা হবে। করোনায় আক্রান্তদের রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে। অন্যদেরও থাকতে হবে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট

জেলা প্রশাসনের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ভারতীয় দূতাবাসের ছাড়পত্র না থাকায় রোববার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে কেউ দেশে আসতে পারেননি। তবে সোমবার তাদের দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।

দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপপরিদর্শক আব্দুল আলিম জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশিদের আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তবে রোববার কোনো নাগরিক দেশে ফিরতে পারেননি।

এর আগে শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভা হয়।

সভায় ভারতফেরতদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে কঠোর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। জানানো হয়, যারা দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশে আসবেন, তাদের সবার পাসপোর্ট পুলিশ হেফাজতে থাকবে। কোয়ারেন্টিন শেষে সিভিল সার্জনের ছাড়পত্রের পর তা ফেরত দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রাথমিকভাবে নার্সিং ইনস্টিটিউট ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নির্বাচন করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্ধারিত পরিবহনে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যাত্রীদেরকে পৌঁছানো হবে। কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকালীন সবাইকেই থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে।

পুরো প্রক্রিয়া তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে প্রধান করে সাত সদস্যের মনিটরিং কমিটিও গঠন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর