করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
রোববার ঈদ ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ‘কঠোর’ বিধিনিষেধসহ ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন আরোপ করা হয়। পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।
এর মধ্যে আরও এক দফা বাড়িয়ে লকডাউনের মেয়াদ করা হয় ৫ মে মধ্য রাত পর্যন্ত। তা শেষ হওয়ার দুই দিন আগে ১৬ মে পর্যন্ত এই লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত জানাল সরকার। তা শেষ হওয়ার দিন চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে পুরোনো সকল শর্ত বহাল রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দুটি শর্ত।
০১. সরকারি রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর বা সংস্থাগুলো সরকারি জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে।
০২. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো কেবল খাদ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করতে পারবে।
এর আগে ৫ মে দেয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দূরপাল্লা বা আন্তনগর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হলেও খুলে দেয়া হয় প্রতি জেলার অভ্যন্তরীণ যানবাহন।
ঈদের আগে আন্তজেলা গণপরিবহন খুলে না দেয়ার কারণে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হলেও, সরকার তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে।
দোকানপাট ও শপিং মলগুলো আগের মতো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সকল দোকানপাট ও শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট ও শপিং মল তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।