রাজধানীর আগারগাঁও ৬০ ফুট সড়ক থেকে রোববার সকালে পুলিশ উদ্ধার করেছে একজন নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ।
তার নাম সুজন মিয়া, বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জের বারহাট্টায়। তিনি কচুক্ষেত এলাকায় দোকানের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, কচুক্ষেত মার্কেটে শনিবার রাতে একটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল এ সময় সুজন মিয়াকে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মজিদ নামে আরেক ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসরাত জাহান জানান, সকাল পৌনে ৬টার দিকে জাতীয় গ্রন্থাগারের পাশ থেকে সুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।
হাসপাতালে নিলে সুজন আগেই মারা গেছেন বলে চিকিৎসক জানান। সুজন কচুক্ষেত এলাকায় কয়েকটি দোকানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। সেখানে শনিবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা সুজনকে মেরে ৬০ ফিট এলাকায় ফেলে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় পৌঁছেছেন। এ বিষয়ে ভাষানটেক থানায় মামলা হবে।’
ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কচুক্ষেত এলাকায় কয়েকটি দোকানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন সুজন। সেখানে অনিক মোটরস নামে একটি দোকানে চুরি হয়েছে।
‘দশ-বারোটি ব্যাটারি চুরি হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চুরির ঘটনার সময় নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
ওসি বলেন, ‘একই এলাকায় মজিদ নামে একজন বাড়িওয়ালা রাতে বাইরে বের হয়েছিলেন। তাকেও মারপিটের পর শেরেবাংলা নগর এলাকায় ফেলে রাখা হয়। চেতনা ফিরলে তিনি রিকশা নিয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরে ফেরেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’