ঈদের ছুটি শেষে এবার কাজে ফেরার পালা। ঈদ করতে বাড়ি যাওয়া লোকজন কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন শনিবার থেকেই। রোববার ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ঘাটগুলোতে।
ঈদযাত্রার সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে। ফেরার চাপও এই পথে বেশি। রোববার দুই ঘাটেই সকাল থেকে দেখা গেছে যাত্রী ও যানবাহনের আধিক্য। তবে ফেরিতে ওঠার জন্য যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল জানান, সকাল থেকে ১৫টি ফেরি এই নৌপথে চলাচল করছে। প্রত্যেকটিতে বিপুল যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রচুর যাত্রী নিয়ে প্রত্যেকটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়ছে। নদীর দুই পারেই যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ রয়েছে।
‘কিছু মানুষ, যারা ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি, তারা বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কিছু মানুষ ঈদ করে ঢাকা ফিরছেন।’
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘাট এলাকায় বর্তমানে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক গাড়ি। এসবের মধ্যে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাই বেশি।’
তিনি জানান, ঘাট এলাকা ছাড়াও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, শিমুলিয়া মোড়সহ কয়েকটি পয়েন্টে কিছু গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। ঘাট এলাকার গাড়িগুলো পারাপার হয়ে গেলে এসব গাড়ি ঘাটে প্রবেশ করবে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথেও রোববার সকাল থেকে ভিড় ঢাকামুখী যাত্রীদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গাদাগাদি করে তিন চাকার যানে চড়ে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন যাত্রীরা।
ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘আমি যশোর থেকে ঢাকা যাচ্ছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আসতে হয়েছে অটোরিকশায়। ভাড়া লেগেছে দ্বিগুণ। সময়ও লাগছে অনেক।
‘আমাদের চরম ভোগান্তির মধ্যে আসতে হয়েছে। আবার ভোগান্তির মধ্যেই ঢাকা যেতে হচ্ছে। সরকারের উচিত দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু করে দেয়া।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী উপব্যবস্থাপক মজিবর শেখ জানান, এই নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি চলছে। পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল। নিয়মিত ফেরি চলায় পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহন আটকে নেই ঘাটে।
ঘাটে এলেই ফেরি পেয়ে যাওয়ায় ফিরতি যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে পাটুরিয়া ঘাটে। সেখানেও আটকে নেই যানবাহন, নেই যাত্রীদের জটলা।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, ঘাটে চাপ বাড়লেও যানজট বা ভোগান্তি নেই। ঘাট থেকে নেমে পরিবহনও পাচ্ছেন কর্মস্থলে যোগ দিতে আসা লোকজন।