বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারাগারে মামুনুলের বিষণ্ন ঈদ

  •    
  • ১৫ মে, ২০২১ ১৯:৫০

বন্দিরা মানসিকভাবে যে পরিস্থিতিতে থাকেন, মামুনুলও তাদের মতোই সেলে বন্দি রয়েছেন। কখনও বিষন্ন, কখনও স্বাভাবিক দেখা গেছে: জেলার

হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি। করোনার কারণে স্বজনদেরও সাক্ষাতে মানা। যে অভিযোগে বন্দি, তার কারণে অন্য বন্দিরাও কাছে ঘেঁষতে চান না। এই পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামের দাপুটে নেতা মামুনুল হকের ঈদ কাটল বিষণ্নতায়।

ঈদের সময়ে বাইরে থেকে এবার খাবার আনতেও ছিল মানা। ফলে কারা কর্তৃপক্ষ যে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে, তাতেই ভরসা করতে হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার এই নেতা এখন গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন।

এই কারাগারে বন্দি থাকেন দুর্ধর্ষ অপরাধী, আলোচিত আসামি বা যাদেরকে নিয়ে নিরাপত্তার দুশ্চিন্তায় থাকে কারা কর্তৃপক্ষ।

প্রায় আড়াই হাজার বন্দি রয়েছেন এই কারাগারে। এদের মধ্যে ফাঁসির আসামি প্রায় এক হাজার আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা পাঁচশর আশেপাশে।

সাম্প্রতিক নাশকতা ও ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের তাণ্ডবের মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির আরও অন্তত ৪০ নেতা আছেন এখানে। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার আলোচিত মামলার আসামি সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনও এই কারাগারেই আছেন।

কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামুনুল কক্ষে একাই থাকেন। সেলের বাইরে কোনো কারা কর্মকর্তা বা কারারক্ষী দেখামাত্রই দোয়া দরুদ পাঠ শুরু করেন। কথা বলার জন্য ইশারা-ইঙ্গিত দেন। তবে অপ্রয়োজনে কেউই তার কাছে ঘেঁষেন না।

একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মামুনুল হক সারাক্ষণই বিষণ্ন মনে বসে থাকেন। বাইরে থাকা স্বজনদের কারও সঙ্গে দেখা বা সাক্ষাতের সুযোগ নেই তার। তবে কারা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফোনে তিনি কথা বলেছেন স্বজনদের সঙ্গে।’

তবে কোন স্বজনের সঙ্গে কী কথা বলেছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না কারা কর্মকর্তারা।

জেলার দেবদুলাল কর্মকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই স্বজনদের সঙ্গে বন্দিদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। তবে ফোনে মামুনুল হক কারও সঙ্গে কথা বলেছেন কি না সে বিষয়টি জানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রত্যেকটি সেলে একজন করে বন্দি রাখা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থেই একটি সেলে একাধিক বন্দি রাখার নিয়ম নেই। কাজেই অন্যান্য আসামির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ নেই মামুনুলের।’

তার মানসিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই কারা কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘বন্দিরা মানসিকভাবে যে পরিস্থিতিতে সময় কাটায়, মামুনুলও তাদের মতোই সেলে বন্দি রয়েছেন। কখনও বিষণ্ন, কখনও স্বাভাবিক দেখা গেছে।’

গত ১১ মে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মামুনুল হককে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর