বিপুলসংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে জাতীয় মসজিদে বায়তুল মোকাররমে হয়েছে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৭টায় এ জামাত হয়।
করোনাভাইরাস মহামারিতে সংক্রমণ রোধে গত বছরের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাত হয়নি। এ কারণে ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। তবে মুসল্লিদের মাস্ক ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ছিল কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। তার সঙ্গে মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান।
নামাজে দেশ ও বিশ্বের করোনামুক্তির জন্য দোয়া করেন ইমাম।
ঈদের নামাজ শেষে আগের মতো একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি চোখে পড়েনি। মুসল্লিদের অনেককে ব্যবহার করতে দেখা যায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি ঈদ জামাত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি হাবিবুর রহমান মেশকাত।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় হবে। এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।
সকাল ১০টায় হবে চতুর্থ জামাত। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় হবে। এ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।
তবে এসব জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বতর্মান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।