রাসেল হত্যা মামলায় দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার বন্ধু একমাত্র আসামি শাকিল মিয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে শাকিলকে হাজির করা হয়। এসময় শাকিল হত্যার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তা রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শাকিলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে শাকিল জানান, বান্ধবীকে নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ হাইস্কুলের পাশে বন্ধু রাসেলকে খুন করেছেন তিনি। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে রক্তমাখা ছুরিসহ শাকিলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাশ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাকিলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রাসেলের। এক পর্যায়ে শাকিল তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
রাসেলকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল জানান, তিনি ও নিহত রাসেল ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
গত ১৮ এপ্রিল রাসেল তার বান্ধবীসহ রেস্টুরেন্টে খেতে যান। সেখানে শাকিল তার বন্ধুদের সঙ্গে উপস্থিত হলে রাসেল তাকে অপমান করেন। ওই ঘটনা থেকে তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য শাকিল গত মঙ্গলবার রাসেলকে মতিঝিল থানাধীন আরামবাগ হাইস্কুলের সামনে ডেকে নিয়ে আসেন। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি রাসেলকে ছুরিকাঘাত করেন।
রাসেলের রক্তক্ষরণ শুরু হলে শাকিল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এই ঘটনায় শাকিলকে একমাত্র আসামি করে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা করে করে পুলিশ।