পদার্থবিজ্ঞানে পড়তে স্কলারশিপ নিয়ে গিয়েছিলেন ইউরোপের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই থাকাকালেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের’ সঙ্গে যুক্ত হন রাজশাহীর বাঘমারা এলাকার যুবক রায়হান ফৌজদার। পড়াশুনা শেষ না করেই দেশে ফিরেন এবং জঙ্গিবাদি কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
গত বুধবার রাতে রায়হানসহ আনসার আল ইসলামের কয়েকজন সদস্য কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় একত্রিত হয়েছিলেন। তথ্য পেয়ে সেখানে হানা দেয় র্যাব। তাদের গোপন বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই ধরা পড়েন রায়হান। তবে তার বাকি সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করে র্যাব-২ এর জঙ্গি প্রতিরোধ সেলের একটি দল। রায়হানকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি মামলা হয়েছে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, রায়হান দুই বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি আনসার আল ইসলামে সদস্য সংগ্রহের কাজ করছিলেন।
এছাড়া রায়হান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক, উগ্রবাদী বিভিন্ন পোস্ট প্রচার করছিলেন।
রায়হানের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র। ছবি সংগৃহীত
র্যাব জঙ্গি প্রতিরোধ সেলের এক সদস্য জানান, রায়হান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়তেন। এরপর তিনি স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে আড়াই বছরের মতো ছিলেন। পড়াশুনা শেষ করার আগেই ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। বিদেশে থাকাকালেই জঙ্গিবাদে উদ্বু্দ্ধ হন রায়হান।
জঙ্গি কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্যই দেশে ফিরে আসেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি র্যাব কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়নি। কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব মামলার তদন্তভার পেলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।রায়হানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হলেও বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপনের সময় রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।