বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাস্ক পরাতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার চিন্তা

  •    
  • ১৩ মে, ২০২১ ১৯:১৪

‘যে আইনটি আছে, সে আইনের কিছু সংশোধনী এনে পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে আমাদের কিছু কাজ করা যায় কি না, এগুলো নিয়ে আমরা একটা আলোচনা করছি। …এটা জাস্ট রাষ্ট্রপতির একটা অধ্যাদেশে হতে পারে। কিছু সংশোধনী এনে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে হয়ে যাবে।’

মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর এবার পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।

এ জন্য সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। জানিয়েছেন, সংসদ অধিবেশনে না থাকায় আর আইন সংশোধনে দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়াতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির কথা ভাবা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা দেখছি, অনেক লোকজন বাইরে যাচ্ছেন। শতভাগ মাস্ক পরার বিষয়টিও অনেকেই পালন করছেন না।… কিন্তু আমাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। শতভাগ মাস্ক আমাদের চালু রাখতে হবে। যার কোনো বিকল্প নাই।’

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর থেকেই সরকার সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে আসছে। মাস্ক না পরলে সরকারি সেবা দেয়া হবে না বলেও নীতি নেয়া হয়।

তবে সচেতনতার অভাব নিয়ে নাান আক্ষেপের মধ্যে মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। আর এই পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেয়া হয় লকডাউন।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আরও বেশি সংক্রামক ও প্রাণঘাতি হয়ে উঠার পর মাস্ক পরার প্রবণতা আগের চেয়ে বাড়লেও এখনও মাস্কহীন মানুষের অভাব নেই পথে ঘাটে।

মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে গত ২১ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা বিভাগ। আদেশ অমান্য করায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বিপুল সংখ্যক মানুষকে জরিমানাও করে।

সংক্রমণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মাস্ক না পরে বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে চলাচল করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।

অবশ্য গত ১৩ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঘোষণায় এই আইন সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে বলা জেলা প্রশাসক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়।

এরপর সরকার গত অক্টোবরে এক আদেশে মাস্ক ছাড়া সরকারি সেবা মিলবে না বলে ঘোষণা দেয়। পরে সেখানে যুক্ত হয় বেসরকারি সংস্থার নাম।

ঈদের আগে মানুষের গ্রামমুখী ঢল আর কেনাকাটায় বিপণিবিতানে ভিড়ের মধ্যেও বহু মানুষকে মাস্ক ছাড়া দেখা যায়।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নানা বক্তব্যে মাস্ক পরায় জোর দিয়ে আসছেন।

এর মধ্যে আবার উদ্বেগ তৈরি করেছে করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্ট, যেটি সে দেশের পরিস্থিতিকে বেশ খারাপ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েও সফল হয়নি সরকার। এরই মধ্যে দেশে করোনার ভারতের ধরন ধরা পড়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরটা (সংক্রমণের হার) কমিয়েছি বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে মানুষজন যেভাবে মাস্ক পরছে না, কিছু সংখ্যক লোকের বাড়িতে যাওয়া- বিষয়গুলো আমাদেরকে ভাবাচ্ছে। আমাদের ধারণা ঈদের পর সংক্রমণ আবার বেড়ে যাবে।’

আর তাই ঈদের পর চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর হচ্ছে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।

তবে সবকিছু এভাবে দীর্ঘদিন এভাবে বন্ধ রাখা সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা শতভাগ মাস্ক পরাতে হবে। সিটি করপোরেশন, জেলা শহর, পৌরসভাগুলোতে যেখানে জনসমাগম বেশি হয়, যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন আসে, কানেকটিভিটির জায়গাগুলোতে, আমাদের চিন্তা ভাবনা হলো শতভাগ মাস্ক পরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা।’

এ জন্যই সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন সংশোধনের পরিকল্পনার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘যে আইনটি আছে, সে আইনের কিছু সংশোধনী এনে পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে আমাদের কিছু কাজ করা যায় কি না, এগুলো নিয়ে আমরা একটা আলোচনা করছি।’

তার মানে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে- জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি তিনি, ‘পুলিশের কাছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে।’

এর ব্যাখ্যায় বলেন, ‘এটি তো আর মোবাইল কোর্ট করে সম্ভব না।’

আইন সংশোধনে কেমন সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা জাস্ট রাষ্ট্রপতির একটা অধ্যাদেশে হতে পারে। কিছু সংশোধনী এনে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে হয়ে যাবে।’

কবে নাগাদ বাস্তবায়ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্রুত চিন্তা ভাবনা আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর