দেশের আকাশে উঁকি দিয়েছে শাওয়াল মাসের চাঁদ। এক মাস রোজা শেষে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে দেশবাসী।
ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া মাত্রই শহরের ওলি-গলি, পারা-মহল্লায় মেতে উঠেছে: ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানে।
শুক্রবার যে ঈদ হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে যায় বুধবারেই। ওই দিন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানায়, দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১৪ মে শুক্রবার থেকে পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা করা হবে। ওই দিন সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
দেশে ১৩ এপ্রিল রজমান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার প্রেক্ষিতে পরের দিন থেকে শুরু হয় রোজা।
ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পৃথক পৃথক শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের শুভেচ্ছা বার্তায় উঠে এসেছে করোনাভাইরাস মহামারি প্রসঙ্গ।
দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘এ বছর ঈদুল ফিতর এমন একটি সময়ে উদযাপিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। করোনা মহামারির কারণে জীবন ও জীবিকা দুটোই আজ হুমকির মুখে।
দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র ঈদুলফিতর। দিনটি বড়ই আনন্দে ও খুশির।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে গ্রামের বাড়ি যেতে ছোটাছুটি না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, এতে আপনজনের জীবনই হুমকিতে মুখে পড়বে।
প্রতিবেশী ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘একটা ঈদে কোথাও না গিয়ে নিজের ঘরে থাকলে কী ক্ষতি হয়? আপনারা ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন। সেখানেই নিজের মত করে ঈদ উদযাপন করুন।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছেন। কিন্তু আপনারা যে একসঙ্গে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরি বা গাড়ি যেখানে হোক কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না। কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা. দাদা-দাদি যেই থাকুক আপনি তাকেও সংক্রমিত করবেন এবং তাদের জীবনকেও মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন।’