ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার এক কিশোরী চাকরি খুঁজতে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে এক পথচারীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে খুঁজে বের করে। এঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এরা হচ্ছেন লালন ও রিপন।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬/১৭ বছর বয়সী এই তরুণীর মা নেই। বাবা আবার বিয়ে করেছেন। সে দাদির সঙ্গে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় থাকে। সংসারে অভাবের কারণে সিরাজগঞ্জে এক বান্ধবীর কাছে চাকরির জন্য যাচ্ছিল সে।
করোনায় যাতায়াতের ভাল ব্যবস্থা নেই। ভেঙে ভেঙে টাঙ্গাইলের কালিহাতি পর্যন্ত পৌঁছাতে তার সন্ধ্যা হয়। এ সময় এক লেগুনাচালক তাকে নিরাপদে সিরাজগঞ্জ পৌঁছে দেয়ার কথা বলে লেগুনায় তোলে। পথে আরও কয়েকজন যুবক তার সঙ্গে যোগ দেয়। তারা মেয়েটিকে নিয়ে হাতিয়া ও সল্লার মাঝামাঝি ছোট বটতলা গ্রামের দিকে চলে যায়। সেখানে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে।
তারা চলে যাওয়ার পর মেয়েটির সঙ্গে এক ব্যক্তির দেখা হয়। তাকে পুরো বিষয়টি জানায় ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটে ৬মে। এর ছয়দিন পর ওই ব্যক্তি পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে বিস্তারিত লিখে পাঠান।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী উপমহাপরিদর্শক (এআইজি- মিডিয়া) ঘটনাটি জানার পরপরই টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানার ওসি সওগাতুল আলমকে পাঠিয়ে দ্রুত তদন্ত করে মেয়েটি এবং তার ধর্ষকদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন।
পরবর্তীতে কালিহাতি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে, এসআই রাজু আহমেদ ও এএসআই তৈয়ব আলীসহ পুলিশের একটি টিম এ বিষয়টি তদন্তে নামে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পায় তারা।
অল্প সময়ের মধ্যেই মেয়েটিকে শনাক্ত করে পুলিশ। দাদির বাড়িতেই খুঁজে পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে তাকে কালিহাতি আনা হয়।
পরে মেয়েটির বর্ণনা ও দেয়া তথ্যমতে, আসামীদের শনাক্ত করা হয়। গত বুধবার রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী লালন ও তার সহযোগী রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলো খলিলুর রহমান ও সুমন। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। তাকে পুনর্বাসনের চেষ্টাও করছে পুলিশ।