বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তাদের ঈদ

  •    
  • ১৩ মে, ২০২১ ০৯:৫৫

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া ঈদগাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রেজাউল ইসলাম জানান, রোজা ও ঈদে সৌদি আরবকে অনুসরণ করায় আগে তাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে গত তিন বছর কোনো রকম বাধা ছাড়াই তারা ঈদ উদযাপন করতে পারছেন।

শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অনেক জায়গায় বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।

শেরপুরের সাতটি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। এই সাত গ্রামের মানুষ রোজাও শুরু করেছিল সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা ও চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল।

সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ঈদের প্রথম জামাত। এরপর কয়েক দফায় নামাজ হয়।

উত্তর চরখারচরের রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, তারা বরাবরই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেন ও ঈদ উদযাপন করেন। এ বছরও একইভাবে উদযাপন করছেন।

নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুর রহমান রিটন জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মাঝেও তারা ঈদের খুশি ভাগাভাগি করছেন।

লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামের সহস্রাধিক মুসলমান সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে উদযাপন করছেন ঈদ।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ঈদের জামাত। ছবি: নিউজবাংলা

ঈদ আনন্দে মেতে ওঠা গ্রামগুলো হলো রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরের তিন গ্রাম।

সকাল ৭টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ও নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ হয়েছে।

রামগঞ্জে ঈদের জামাতে ইমামতি করা মাওলানা রুহুল আমিন জানান, মাওলানা ইসহাকের (রাঃ) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ৪০ বছর ধরে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

দ্বিতীয় দিনের মতো চাঁদপুরে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। বুধবার বিশ্বের যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা দেয়ার ভিত্তিতে চাঁদপুরের ৫০ গ্রামে উদযাপনের পর বৃহস্পতিবার সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।

সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘সৌদি আরবে গতকাল চাঁদ ওঠায় আমরা ঈদ উদযাপন করছি।’

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চিথলীপাড়া, ভালকী, বৈঠাপাড়া, ফলসিসহ কয়েকটি গ্রামেও হচ্ছে ঈদ।

উপজেলার চটকাবাড়িয়া ঈদগাপাড়া জামে মসজিদে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের প্রথম জামাত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রেজাউল ইসলাম।

তিনি জানান, রোজা ও ঈদে সৌদি আরবকে অনুসরণ করায় আগে তাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে গত তিন বছর কোনো রকম বাধা ছাড়াই তারা ঈদ উদযাপন করতে পারছেন।

ঈদের নামাজ পড়েছেন বরিশালের ছয় উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের লোকজন। তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাতের অনুসারী।

নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকার হাজি বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি আমীর হোসেন মিঠু জানান, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

মৌলভীবাজারের শতাধিক পরিবারের ঈদ এসেছে বৃহস্পতিবার। সকালে জেলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামের একটি বাড়ির ছাদে ঈদের জামাত হয়েছে। তাতে ইমাম ছিলেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী।

জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও একদিন আগে ঈদ করেছেন অনেকে। এমনই একজন হাফেয মাজেদুল হক সজীব। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরেই তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল ঈদ করছেন।

ভোলার ১০ গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ ঈদ করছেন বৃহস্পতিবার। তারা সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী।

এ ছাড়া লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের ৪০টি পরিবার, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার কয়েকশ পরিবার ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে।

এ বিভাগের আরো খবর