রাজধানীর বংশালে রিকশাচালককে মেরে অজ্ঞান করে ফলার ঘটনায় আটক সুলতান আহমেদের এবার আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না। ঈদের দিনটি কারাগারেই কাটাতে হবে তাকে।
বুধবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মেহেদী হাসান বাদল।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন আদালতের বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা।
বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন ।
বংশাল থানার নন জিআর শাখার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার ছিল ঈদের আগে জামিন শুনানির শেষ দিন।
আবেদনটি নাকচ হয়ে যায়।
আর এর ফলে সুলতান আহমেদকে এবারের ঈদের দিন কারাগারেই থাকতে হবে।
গত ৫ মে সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। গত ৯ মে বিকেলে দ্বিতীয় দফাও তার জামিন নাকচ হয়ে যায়।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল একজন সংবাদকর্মী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও লিংক পাঠান। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর বংশালে এক ব্যক্তি একজন রিকশাওয়ালাকে চড়-থাপ্পড় মারছেন। তার নির্যাতনের এক পর্যায়ে রিকশাওয়ালা মাটিতে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। পাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসেন।
ভিডিওটি দেখামাত্র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বংশাল থানার ওসি মো. শাহীন ফকিরকে নিপীড়নকারী লোকটিকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বংশাল থানার ওসির নেতৃত্বে একটি দল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাকে আটক করে।
নির্যাতনকারী সুলতান আহমেদদ পেশায় একজন সাইকেল ব্যবসায়ী।