বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিতু হত্যায় স্বামী বাবুলকে আসামি করে মামলা

  •    
  • ১২ মে, ২০২১ ১৩:১৯

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বুধবার দুপুরে এ মামলা করেন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আকতারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বুধবার দুপুরে এ মামলা করেন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।

এর আগে এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, মিতু হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ জন্য নতুন একটি মামলায় তাকে আসামি করা হচ্ছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যায় বাবুল আকতারের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তবে আইন অনুযায়ী পুলিশ চাইলেই মামলার বাদীকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। তাই আমরা আজ তদন্তাধীন মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’

ব্রিফিংয়ের পরপরই চট্টগ্রাম আদালতে বাবুল আকতারের করা মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পিবিআই। পিবিআই চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক আজমির হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।

এর পর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করতে পৌঁছান মিতুর বাবা মোশাররফ।

বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন মিতুর বাবা

পিবিআই জানায়, মিতু হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে এরই মধ্যে তার দুই বন্ধু গাজী আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

বাবুল আকতারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ডেকে নেয় পিবিআই। বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনকেও ডেকে নেয়া হয়েছে বন্দরনগরীতে।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুল আকতারকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর