উপহার হিসেবে পাঠানো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ৫ লাখ টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে চীন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে সিনোর্ফামের টিকা ও এডি সিরিঞ্জ হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমান বুধবার ভোরে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা ও এডি সিরিঞ্জ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
চীন থেকে টিকা আনতে মঙ্গলবার ১৩ জন এয়ার ক্রু চীনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছিলেন। বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান দলনেতা হিসেবে এই গুডউইল মিশনের দায়িত্ব পালন করেন।
টিকা হস্তান্তর নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। নিজ দেশে চাহিদা থাকার পরও বন্ধুদের পাশে থেকে চীন দায়িত্বশীলতা রক্ষা করছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং করোনা টিকাকে গ্লোবাল পাবলিক গুড ঘোষণা দিয়ে সেটি রক্ষা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি বিশেষ দিন।’
লি জিমিং বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন পাওয়া টিকা সিনোফার্ম। বিশ্বের ৬৩ দেশের মানুষের শরীরে এই টিকা সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন চীনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর টিকা গ্রহণে সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল। তাই এ নিয়ে কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। চীনের টিকা এ দেশে যৌথভাবে উৎপাদনে গেলে সেটি দুই দেশের জন্যই উইন উইন সিচুয়েশন হবে।
টিকা উপহারের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক চীন সরকার ও চীনের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আরও বেশি সিনোর্ফামের টিকা পাওয়ার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।’
তিনি জানান, জুন-জুলাইয়ে আরও টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে চীন।