নারায়ণগঞ্জের পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে ১৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবির বুধবার মামুনুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এর আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুলকে ভার্চুয়ালি আদালতে যুক্ত করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে মামুনুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে হরতালে সহিংসতার দুইটি মামলা এবং সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্ট ও যুবলীগ, ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের দুইটি মামলায় পুলিশ মামুনুলকে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। প্রতিটি মামলায় আদালত তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন নেয়।
এ ছাড়া জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা হয় নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জসহ আরও কয়েক জেলায়।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল। ওই নারীকে প্রথমে তিনি নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও পরে জানা যায়, মিথ্যা বলেছেন মামুনুল। ওই নারী তার পরিচিত হলেও স্ত্রী নয়।
এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
গ্রেপ্তারের পর তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।