বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য: ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ

  •    
  • ১২ মে, ২০২১ ১১:১১

কোয়াড নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তবে তলব করে নাকি চিঠির মাধ্যমে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে, তা বলতে চায়নি কেউই।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের কৌশলগত জোট কোয়াডে যোগ দেয়া নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে চীনকে বাংলাদেশের জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কথা জানিয়ে দেয়া হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছে।

এসব সূত্র জানায়, বৃহৎ শক্তিগুলো বাংলাদেশকে তাদের যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর পাঁয়তারা করছে। চীনা রাষ্ট্রদূতের ‘আগ্রাসী বক্তব্য’ সেই যুদ্ধের পূর্বাভাস। চীন ঢাকায় এই বক্তব্য দিয়ে তার বিরুদ্ধ জোটের প্রতি সহনশীল দেশগুলোকেও এক ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রেখেছে।

কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে বলে সোমবার এক অনুষ্ঠানে সতর্ক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

তিনি বলেন, ‘‌চীন মনে করে কোয়াড গ্রুপটি চীনবিরোধী। আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোয়াড নিজেকে অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত বলে দাবি করলেও তা সত্য নয়। এটা একটি সামরিক জোট এবং মূলত এটা করা হয়েছে চীনের বিরোধিতার জন্য।

‘এই চার সদস্যের ক্লাবে যোগ দেয়াটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। কারণ এর ফলে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন’ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) সংলাপের সূচনা হয়।কোয়াড নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

তবে তলব করে নাকি চিঠির মাধ্যমে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে, তা বলতে চায়নি কেউই।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কী করব, সব কথা কি বলা যাবে নাকি? তাহলে তো রাষ্ট্র বলে কিছু থাকবে না।’

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ধরনের আচরণ আমরা এর আগে দেখিনি। আমরা তাদের সঙ্গে বসব এবং জানার চেষ্টা করব বিষয়টা আসলে কী?’

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে একাধিক বৈশ্বিক জোটের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান। জোটগুলোর কার্যক্রমও এশিয়াকেন্দ্রিক।

ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো ধরনের সামরিক জোটে বাংলাদেশের না থাকার বিষয়টি সব সময়ই জোর দিয়ে বলেছে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমাদের বর্তমান ও মৌলিক অবস্থান হলো আমরা কোনো ধরনের সামরিক জোটে নেই। অন্যদিকে আমরা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সব দল বা জোটের সঙ্গেই আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব ধরনের হস্তক্ষেপমুক্ত বঙ্গোপসাগর চাই। এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের বাধা চাই না।

‘বঙ্গোপসাগরে আমরা অবাধ যোগাযোগ চাই এবং এখানে আমরা বৈশ্বিক কোনো জোটের শক্তি প্রদর্শন চাই না। এটাই আমাদের প্রিন্সিপাল পজিশন।’

এ বিভাগের আরো খবর