দেশের ৭০ ভাগ সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি দাবি করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের নেতারা।
মঙ্গলবার ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সই করা বিবৃতিতে উৎসব ও বেতন-ভাতা খেলাপি মালিকদের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অথচ বেতন-ভাতা খেলাপি সংবাদপত্রের কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রের নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। সরকার সংবাদপত্রে যেসব ভর্তুকি বা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে, তা মূলত সাংবাদিকদের আর্থিক সুবিধার জন্যই। অথচ, ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিকভাবে মাত্র ৩০ ভাগ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বেতন ও উৎসব ভাতা দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালের সংবাদিকদের বকেয়াসহ বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছিল ডিইউজে। এর পর বেশ কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষ বেতন-ভাতা-বোনাস দিয়েছে। ডিইউজে তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
একই সঙ্গে ৭০ ভাগ সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টাল বেতন-ভাতা-বোনাস পরিশোধ না করায় বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, এতে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করে থাকে, তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। বেতন-ভাতা খেলাপিদের তালিকা তৈরির জন্য ডিএফপির প্রতি আহ্বান জানান ডিইউজের নেতারা।
একই সঙ্গে খেলাপি মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতারা বলেন, করোনা মহামারির এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করলে তা বরদাশত করা হবে না। ইতিমধ্যে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে।