হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম সত্যব্রত শিকদার মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
গত ৩ মে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান। সবশেষ ধাপের রিমান্ডের শেষ দিন ছিল আজ।
রিমান্ডের শেষ দিনে মঙ্গলবার আজিজুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম।
আজিজুল হকের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় করা সহিংসতা ও নাশকতার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাকিম সত্যব্রত শিকদার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দ্বিতীয় ধাপে ১৪ দিনের রিমান্ডের শেষ দিন ছিল ৩ মে। সেদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে হাকিম তাকে আরও সাতদিনের রিমান্ডে পাঠায়। সবশেষ ধাপে রিমান্ডের শেষ দিন ছিল আজ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনের বিরুদ্ধে গত ২৫ ও ২৬ মার্চ আন্দোলনের নামে হেফাজতের করা সহিংসতা ও নাশকতার মামলায় আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে র্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযানে আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।
এরপর কয়েকদফায় তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ইসলামাবাদী আরও ১৪ দিন রিমান্ডে
গত ১৮ এপ্রিল আজিজুল হকের বিরুদ্ধে পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছিল আদালত।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
পরে পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম শহিনুর রহমান দুই মামলায় তাকে আরও সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।
১২ এপ্রিল আজিজুলের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিল ঢাকার সিএমএম আদালত।
২০১৩ সালে ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরের সমাবেশে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।