বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ নেই জাতীয় ঈদগাহে

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১৯:৪১

রোজার শুরু থেকেই লাখো মুসল্লির ঈদ জামাতের জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয় জাতীয় ঈদগাহে। বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল তৈরি, অজুখানা স্থাপন, ঈদগাহের মিনার রং করা, আশপাশের এলাকা তথা হাইকোর্ট মাজার, কদম ফোয়ারাসহ সব জায়গায় বর্ণিল ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়। ঈদের তিন দিন আগেই সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যায় জাতীয় ঈদগাহ। এই কর্মযজ্ঞের কিছুই এবার নেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

ঈদের বাকি আর মাত্র এক বা দুই দিন। প্রতি বছর এ সময় ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় জাতীয় ঈদগাহ। কিন্তু করোনার কারণে জাতীয় ঈদগাহে এবারও হচ্ছে না ঈদ জামাত। নেই কোনো সাজসজ্জা। ফাঁকা পড়ে আছে ঈদগাহ ময়দান।

প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতি ও কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নেন। এবার সেখানে জামাতের কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। সাজানো হয়নি ঈদগাহের চারপাশ।

রোজার শুরু থেকেই লাখো মুসল্লির ঈদ জামাতের জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয় জাতীয় ঈদগাহে। বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরি, অজুখানা স্থাপন, ঈদগাহের মিনার রং করা, আশপাশের এলাকা তথা হাইকোর্ট মাজার, কদম ফোয়ারাসহ সব জায়গায় বর্ণিল ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়। ঈদের তিন দিন আগেই সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যায় জাতীয় ঈদগাহ। এই কর্মযেজ্ঞের কিছুই এবার নেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

মহামারির থাবায় গতবারের মতো এবারও ঈদগাহে নামাজ আদায় বন্ধ। উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম না করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। যার ফলে ঈদের নামাজ পড়তে হবে মসজিদে। সময় ভাগ করে মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঈদগাহে নামাজ হবে না এমনটি শুনে আবেগি হয়ে ওঠেন সেগুনবাগিচার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। বলছিলেন, প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ি। ঈদ আনন্দের বিশেষ অংশই হলো ঈদগাহে নামাজ আদায়। মসজিদে তো দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। কিন্তু ঈদগাহে গিয়ে নামাজ না পড়লে ঈদের আনন্দই যেন পূর্ণতা পায় না। করোনার কারণে গত বছরও ঈদের নামাজ মসজিদে পড়তে হয়েছে। এবারও তাই হবে। কিছু করার নেই।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা তাহিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদগাহে জামাতে নামাজ আদায় করতাম। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর ঈদগাহে নামাজ হয়নি, এবারও হবে না। লাখো মানুষের সঙ্গে ঈদগাহে নামাজ পড়ে যে আনন্দ হতো, এখন ততটা হয় না।

ঈদগাহ প্রস্তুতির কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, প্রতি বছর রমজানের শুরু থেকেই আমরা জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতির জন্য কাজ করি। ঈদের তিন দিন আগে নামাজের জন্য সম্পূর্ণভাবে মাঠ প্রস্তুত করে ফেলি। বরাবরের মতো এবারও টেন্ডার পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যায়ে করোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। গতবারের মতো এবারও ঈদগাহে নামাজ সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ কারণে ঈদগাহ সজ্জিতও করা হয়নি।

তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদগাহ মাঠ তৈরিতে প্রায় ১ হাজার লোক কাজ করতেন। সব মিলিয়ে করোনার কারণে ডেকোরেটরের ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিয়েছে। চরম আর্থিক সংকটে ভুগছি। এখন ব্যবসা ধরে রাখাই কঠিন।

ডেকোরেটরের কাজে যুক্ত এমন ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ী তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের নিজস্ব জায়গায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা কোনো রকম টিকে আছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আয়োজনে হাইকোর্টের পাশে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে লাখো মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন। যার মধ্যে পাঁচ হাজার নারীর নামাজ আদায়ের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা থাকত।

এ বিভাগের আরো খবর