বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১৮:৩৮

ঈদের নামাজ প্রসঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে। তবে ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কোনো কার্পেট বিছান যাবে না। মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। আর নামাজ শুরুর আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার ঈদগাহ বা খোলা ময়দানের পরিবর্তে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে মসজিদে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী।

তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ জামাত। যেখানে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।

পঞ্চম ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সকাল পৌনে ১১টায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান সবশেষে জামাতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন।

এই পাঁচটি ঈদ জামায়াতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে, বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

বতর্মান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে। তবে ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কোনো কার্পেট বিছান যাবে না। মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। আর নামাজ শুরুর আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের ঢোকার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

সরকারের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে। অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। শিশু, বয়স্কসহ যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো যাবে না।

সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনাটি বাস্তবায়নে খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সরকারের এ নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিজনিত কারণে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর