বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বনানীর আগুন ‘কম্পিউটার সিপিইউ’ থেকে

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১৭:১১

ভবনে কর্মরত দুইটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত কম্পিউটারের সিপিইউ থেকে। ভবনটির তৃতীয় তলায় স্যামসাংয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের করপোরেট অফিস। আগুনের সূত্রপাতও সেখান থেকেই।

অন্যদিনের মতোই কর্মচাঞ্চল্য ছিল বনানী ১১ নম্বর রোডের খান প্লাজায়। হঠাৎ আগুনে এলোমেলো হয়ে যায় সব। এতে কেউ হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন আগুনের সূত্রপাত ভবনটির তৃতীয় তলার কম্পিউটারের কয়েকটি সিপিইউ থেকে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক শাহজাহান শিকদার নিউজবাংলাকে জানান, তারা আগুন লাগার খবর পান ১১টা ৪২ মিনিটে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। সোয়া একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনে ভবনটির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

ভবনে কর্মরত দুইটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত কম্পিউটারের সিপিইউ থেকে। ভবনটির তৃতীয় তলায় স্যামসাংয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের করপোরেট অফিস। আগুনের সূত্রপাতও সেখান থেকেই।

প্রতিষ্ঠানটির কমার্শিয়াল বিভাগে কর্মরত মুজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সেকেন্ড ফ্লোরে (তৃতীয় তলা) কাজ করি। কখন আগুন লেগেছে সেই সঠিক সময়টা দেখি নাই। আসলে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি যেখানে আগুন ছিল দেখেছি সেখানে টেবিলের নিচে সিপিইউ ছিল।

‘আস্তে আস্তে সিপিইউগুলো ব্লাস্ট হওয়া শুরু করল, দমদম করে আগুন জ্বলতেসে, যার কম্পিউটার সে চেষ্টা করেছিল নেভানোর কিন্তু পারেনি। হুট করে আগুন সমস্ত ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। কার্পেটে আগুন লাগে।’

মুজিবুর আরও বলেন, ‘মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ সব রেখে আমরা নিচে চলে গেসি। কোনো রকমে জীবন রক্ষা করেছি। ধোঁয়া, অন্ধকার চারদিকে কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। এখন এসে দেখি ল্যাপটপ ফোনসহ সব ইলেকট্রনিকস গলে গেছে।’

একই তলায় হুন্দাইয়ের করপোরেট অফিস। প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটা আমি শিওর না। হঠাৎ দেখি ফ্লোরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর গ্লাসে আগুন লেগে তা গলে পড়তে শুরু করে। প্রথম দিকে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তবে ধোঁয়া বাড়তে থাকায় সমস্ত ফ্লোর কালো হয়ে ওঠে। তাই সবাই নিচে নেমে যায়।’

ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সে কর্মরত মো. লিয়েন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সেকেন্ড ফ্লোরেই আগুনটা লেগেছে। আমরা ওখানেই ছিলাম। ফার্স্টে আগুনটা নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে এটা পারা যায়নি। পরে আগুন ছড়িয়ে গেছে। ফ্লোরে কার্পেট ছিল তাই আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

‘আমি তখন বাথরুমে আটকে পড়ছিলাম, বাথরুম থেকে খুব দ্রুত বের হয়েছি। বাথরুমের পাশেই আমাদের এক্সিট গেট, ওখান থেকে দ্রুত বের হয়ে চলে আসতে পারছি। আমাদের ডেস্কে প্রায় দেড়শর মত মানুষ কাজ করে। আমাদের দুইটা ফ্লোর আছে, উপরে আরও দুইটা অফিস আছে। ওখানেও আরও অনেক লোকজন কাজ করে। আসলে আমি যেখানে বসা ছিলাম তার পেছনে আওয়াজ শুনলাম; ঠাস ঠাস করে আওয়াজ হচ্ছিল।’

Caption

কী বলছে ফায়ার সার্ভিস

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর নিয়াজ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগুনের সঠিক কারণ এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে এখানে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কোনো একটি কেবিনেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা সেটা যাচাইবাছাই ছাড়া বলতে পারব না। এর জন্য অধিক তদন্তের দরকার।’

এই ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কেমন ছিল তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে ছিল কিছু কিছু, তবে একশভাগ ছিল না। এটি একটি করপোরেট বিল্ডিং হওয়াতে বাতাস বের হবার কোনো ওয়ে ছিল না। তাই আমাদের একটু সমস্যা হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। ১২টা ৫৫ মিনিটে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এরপর ১টা ১০ মিনিটে পুরোপুরি নির্বাপণ করি।’

এ বিভাগের আরো খবর