বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদযাত্রার চাপ মহাসড়কে, ধীরগতিতে চলছে যান

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১৫:০৫

গণপরিবহন না পেয়ে ট্রাক, ভ্যান এমনকি মুরগির খাঁচার উপর বসেও যাচ্ছেন। দুর্ঘটনা কিংবা করোনা, কোনোকিছুরই পরোয়া নেই তাদের। পরিবহন না পেলে হেঁটেও রওনা হয়েছেন কেউ কেউ।

ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে গেছে ৪১ হাজার ৬২৫টি যান। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়িই ছিল বেশি। স্বাভাবিক সময়ে এই সেতু দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১১ হাজার যানবাহন পারাপার হয়।

সেতুর টোলপ্লাজা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মঙ্গলবার সকালে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপ। এসব যানে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গমুখী সড়কে বেড়েছে চাপ। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে মুরগির খাঁচার উপর বসেও যাচ্ছেন। দুর্ঘটনা কিংবা করোনা, কোনোকিছুরই পরোয়া নেই তাদের।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চলছে।

ঈদযাত্রার চাপ পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশে যানবাহন চলেছে ধীরগতিতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য ছোট যানে করে বাড়ি ফিরছেন লোকজন।

কুমিল্লার গৌরীপুরগামী কামরুল হাসান বলেন, গণপরিবহন না থাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেলে ওঠেন তিনি। যানজটে পড়ে গোমতী সেতুর ওপরই আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন জানান, ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাই সড়কে বেশি। কিছু পণ্যবাহী গাড়িও রয়েছে। এখন পর্যন্ত যানজট নেই। তবে যানবাহনের ধীরগতি আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

যানজট দেখা গেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও। সেখানে থেমে থেমে চলছে পরিবহনগুলো। মঙ্গলবারও এই সড়কে দূরপাল্লার যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা গেছে স্থানীয় রুটের বাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র।

যানজট নিরসনে সড়কে দেখা গেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন, জেলা পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের ৩০০-এর বেশি ট্রাফিক পুলিশ।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী স্টেশন রোড, গাজীপুর চৌরাস্তা, পূবাইল, মাওনা, চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়সহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে গাড়ি চলছে। বাস না পেয়ে ট্রাকসহ বিভিন্ন বাহনে চড়ে গন্তব্যে ছুটছেন যাত্রীরা।

অনেককে হেঁটেও যেতে দেখা গেছে।

ময়মনসিংহগামী রাজু মিয়া জানান, যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা অনেক কম থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে বেশি। যেসব পরিবহন পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ভাড়া নিচ্ছে তিন গুণ বেশি।

ভোররাতে বৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কগুলোতে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগও বেড়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম দক্ষিণ) ইলতুৎমিশ জানান, মহাসড়কে যানজটের বিড়ম্বনা যেন না হয়, সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।

দূরপাল্লায় বাস চলছে জানালে তিনি বলেন, জেলার ভেতরে বাস রাস্তায় দেখলেই আটকে দেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর